দুই কারণে ফারদিনের আত্মহত্যা : ডিবি
- আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
- / ১৬০১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ (২৪) হতাশা ও টাকার সংকটে পড়ে নদীতে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, ফারদিন অন্তর্মুখী ছিলেন। এ কারণে তিনি সবার সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করতেন না।
ফারদিনের হতাশার কারণ তুলে ধরে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তার পরীক্ষার ফলাফল ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। তার সিজিপিএ ৩ দশমিক ১৫ থেকে কমে ২ দশমিক ৬৭ হয়। এটি তার পরিবার বা স্বজনদের কেউ জানতেন না। এ ছাড়া বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে স্পেন যাওয়ার জন্য তার ৬০ হাজার টাকা দরকার পড়ে। কিন্তু তাকে ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করে দেন বন্ধুরা। সবমিলিয়ে মানসিক চাপে পড়েই সে আত্মহত্যা করেছে।
ডিবি প্রধান বলেন, এ ছাড়া টিউশনি করে নিজের ও ছোট দুই ভাইয়ের পড়ার খরচ চালালেও তাকে বাড়ি ফেরার চাপ দেওয় হতো, যা তিনি মানতে পারেননি।
ফারদিন মানসিকভাবে ডিস্টার্ব ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বান্ধবী বুশরাকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে নামিয়ে দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন ফারদিন। রামপুরা থেকে কেরাণীগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ থেকে জনসন রোড, জনসন রোড থেকে গুলিস্তান, গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী, এরপর তার নিজের বাসা পার হয়ে চলে গেলেন ব্রিজে (ডেমরা)।
হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে লেগুনাচালক বলেছে তারা চনপাড়ার দিকে যায়নি। কারণ রাত ২টা ৩৪ মিনিটের দিকে ফারদিন লেগুনা করে ব্রিজের কাছাকাছি যান।
তিনি বলেন, বান্ধবী ইফাত জাহান মুমুর সঙ্গে মেসেঞ্জার ও টেলিগ্রামে ফারদিনের অনেক কথোপকথন হয়েছে। ওই সময় সে বহুবার হতাশার কথা বলেছে। ফারদিন হতাশাগ্রস্ত ছিলেন এবং সে আত্মহত্যা করতে পারেন বলেও মনে করেন মুমু। এ ছাড়া ফারদিন সাঁতারও জানতেন না বলেও জানান বান্ধবী মুমু।
ডিবি কর্মকর্তা আরও বলেন, ভিসেরা রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে মাথায় আঘাতের কথা বলা হলেও তা খুবই সামান্য। এতে মৃত্যু নয়, সর্বোচ্চ অজ্ঞান হতে পারে। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং তার কাপড়েও কোনো ছেঁড়া পাওয়া যায়নি।