দুর্গম ৭ রাজ্যে পণ্য পাঠাতে চট্টগ্রাম-মংলা বন্দরে পুরো ট্রানজিট চায় ভারত
- আপডেট সময় : ০৪:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৬০৪ বার পড়া হয়েছে
দুর্গম ৭টি রাজ্যে নিজেদের পণ্য পাঠাতে এবার চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের পুর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে চায় ভারত। নির্ধারিত মাশুলের বিনিময়ে প্রস্তুতি শেষ করেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, ট্রানজিট কিংবা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্দরের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ধরে রাখতে একটি দেশে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। অন্যদিকে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জনমানুষের বিভ্রান্তি মেটাতে কী শর্তে ট্রানজিট সুবিধা দেয়া হলো, তা খোলাসা করা উচিত।
২০২০ সালে প্রথম ভারতীয় পণ্য নিয়ে জাহাজ ভেড়ে চট্টগ্রাম বন্দরে। এরপর আরো কয়েকটি জাহাজে পণ্য এনে খালাসের পর সড়কপথে পরীক্ষামুলকভাবে ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত রাজ্যগুলোতে পাঠানো হয়। ট্রায়াল সফল হওয়ায়, এবার পুরোদমে ট্রানজিট সুবিধা চালুর আগ্রহ দেখায় ভারত। সাম্প্রতি দেশটির প্রস্তাবে সায় দিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে এনবিআর।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ডলার সংকটসহ নানা কারনে কয়েক মাস ধরেই আমদানী রপ্তানীর চাপ নিন্মমুখী। এর ওপর পিসিটি অপারেশনে আসাসহ বিভিন্ন টার্মিনালে সক্ষমতা বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। তাই ট্রানজিট পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর।
বন্দর ব্যবহারকারিরা বলছেন, ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা চালু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের বন্দর দুটির মান বাড়বে। কিন্তু তা যদি একতরফা হয়, তবে সুফল আসবে না। তাই একই জাহাজে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও যাতে পণ্য আনা-নেয়া করা এবং নেপাল ও ভুটানসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নতি করা গেলে, সুফল পাওয়া যাবে বেশি।
এনবিআরের নির্দেশনায় বাংলাদেশের বন্দর ও অবকাঠামো ব্যবহার করে পণ্য আনা নেয়া করতে হলে, প্রতিটি চালানে প্রসেসিং ফি ৩০ টাকা, ট্রান্সশিপমেন্ট ফি ২০ টাকা, নিরাপত্তা ফি ১০০ টাকা, কনটেইনার স্ক্যানিং ফি ২৫৪ টাকা ও প্রশাসনিক ফি ১০০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। ফুটেজ-৪ এই মাশুল যথেষ্ট কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্রানজিটের শর্তগুলো প্রকাশ করার দাবি জানান অর্থনীতিবিদরা।
চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে পণ্য খালাসের পর সড়ক পথ ও স্থলবন্দর ব্যবহার করে আখাউরা-আগরতলা, তামাবিল-ডাউকি, শেওলা-সুতারকান্দি, বিবির বাজার-শ্রীমন্তপুর হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল ও মেঘালয়ে পণ্য আনা নেয়া করবে ভারত।