দেশের তাঁতবস্ত্রের প্রধান মৌসুম রমজান মাস
- আপডেট সময় : ০৫:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
- / ১৬৬১ বার পড়া হয়েছে
ঈদ সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লীতে শাড়ী-লুঙ্গী তৈরীতে তাঁতীরা কর্মব্যস্ত হয়ে উঠলেও কাঁচামালের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি আর থ্রি-পিসের ব্যবহার বেড়ে শাড়ীর চাহিদা কমায় তেমন লাভের মুখ দেখতে পারছে না। বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় থ্রিপিসের আগ্রাসনে দেশের তাঁতশিল্প দুর্বল হয়ে একসময় ধ্বংসের আশংকা করছেন এ শিল্পের মালিকরা। ঈদ মৌসুমেও তাঁত শিল্পের এমন দুরবস্থায় উদ্বিগ্ন শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা।
দেশের তাঁতবস্ত্রের প্রধান মৌসুম রমজান মাস। ঈদকে সামনে রেখে এ সময় কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁতমালিক ও শ্রমিকরা। কিন্তু সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, শাহজাদপুর, এনায়েতপুর, উল্লাপাড়া ও সদর উপজেলায় প্রায় ৩৫ হাজার তাঁত মালিকের সাড়ে ৩ লাখ ইঞ্জিন ও হস্তচালিত তাঁত থাকলেও বর্তমানে মাত্র অর্ধেক মালিকের ৫০ শতাংশের মতো কারখানা এখন খট-খট শব্দে মুখরিত। এসব কারখানায় দু’মাস ধরে বাহারী নকশার সুতি, সিল্ক, রেশমী ও জামদানী শাড়ি এবং লুঙ্গী তৈরি হলেও শাহজাদপুর, সোহাগপুর, এনায়েতপুরের মতো হাটগুলোতে নেই তেমন বেচাবিক্রি। ভারতীয় থ্রি-পিসের আগ্রাসনে পিছিয়ে পড়ছেন দেশী বস্ত্রের তাঁতীরা।
ঈদে শ্রমিকদের বাড়তি পরিশ্রমের আয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসব পালনের আশা থাকলেও বিক্রি না বাড়ায় স্বাভাবিক মজুরী পাওয়াই দায় হয়ে উঠছে।
সুতা ও রঙের মূল্যবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক মন্দায় আগের তুলনায় বিক্রি ২৫ ভাগে নেমে আসায় চিন্তিত তাঁত সংগঠনের নেতারাও। তাই স্বল্পসুদে ঋণ এবং বিনাশুল্কে সূতা, রং ও কেমিক্যাল আমদানীর সুযোগসহ বিদেশী পোশাক আমদানি নিরুৎসাহিত করার দাবী তাদের।
সিরাজগঞ্জের ব্র্যান্ডিং হিসেবে ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ও এর সাথে জড়িতদের রক্ষায় সরকারের কাছে কার্যকর পদক্ষেপ চান সংশ্লিষ্ট সবাই।