দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দী ১০ লাখ পরিবার
- আপডেট সময় : ১১:১৩:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
- / ১৬৮১ বার পড়া হয়েছে
ভারত থেকে ছাড়া বানের ঢল বন্ধ না করায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এতে পানিবন্দী প্রায় ১০ লাখ পরিবার। একদিকে তীব্র খাদ্য সংকট, অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন জেলার বেশিরভাগ এলাকা। বিঘ্নিত মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে বানভাসী মানুষের।
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজীবন। পানি বন্দি আছে প্রায় ১০ লাখের বেশী মানুষ। জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০হাজার মানুষ। সংকট তৈরি হয়েছে সুপেয় পানির। সবচেয়ে বেশী কষ্টে আছে বৃদ্ধ, শিশু ও অন্তস্বত্তা নারীরা। বন্যা দুর্গত এলাকায় আটকাপড়া মানুষদের উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে সেনা, নৌ, কোস্ট গার্ড, বিজিবি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কীর্মীরা।এছাড়াও উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টার। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীরা নিজ উদ্যোগে খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হযেছে।
ভয়াবহ বন্যার পানিতে নতুন করে ডুবে গেছে কুমিল্লার আরও এক উপজেলা। গোমতী নদী ও ঘুংঘুর নদীর বাঁধ ভেঙে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম ডুবে গেছে। হঠাৎ করে প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ায় মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে পারেনি। এতে আটকা পড়েছে নারী-শিশুসহ প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়ে দুর্বিষহ দিন কাটছে খুলনার পাইকগাছার ১৪টি গ্রামের পানিবন্দি প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। ৩ দিন ধরে শত চেষ্টা করেও ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত সম্পন্ন করতে পারেনি গ্রামবাসী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঘরবাড়ি ছেড়ে কেউ আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু সড়কে, কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে।
বন্যার ৪দিনেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি খাগড়াছড়ির ক্ষতিগ্রস্থরা। খাগড়াছড়ি জেলায় প্রায় ৪০ হাজার পরিবার কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত ৫০২ মেট্টিক টন খাদ্য শষ্য ও নগদ সাড়ে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।এদিকে, বিচারকের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজ উদ্যাগে ১০ গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
আখাউড়ায় কমতে শুরু করেছে হাওড়া নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে ৮ সেন্টিমিটার। ফলে উন্নতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। এ ছাড়া সালদা নদীর পানি কমে উন্নতি হচ্ছে কসবার বন্যা পরিস্থিতি। তবে বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ।