দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি
- আপডেট সময় : ১২:২৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
- / ১৭০৯ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে ফসলি
জমি। গ্রামীণ সড়ক ডুবে ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সিলেটে তৃতীয় দফার বন্যায় পানিবন্দি প্রায় ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন।কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে নাগেশ্বরী, রৌমারী, রাজিবপুর,চিলমারী, ভুরঙ্গামারী, উলিপুর, ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও সদর উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চল। সড়ক তলিয়ে ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ডুবেছে পাট, আমন বীজতলাসহ ও মৌসুমী ফসলের ক্ষেত। পানি বন্দী অন্তত ২০ হাজার পরিবার। শিমুল বাড়ি পয়েন্টে ধরলার পানি ১২ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১ সেন্টিমিটার এবং নুন খাওয়া পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটে তৃতীয় দফার বন্যায় ফের প্লাবিত হয়েছে জেলার ৯৭ ইউনিয়নের এক হাজার ১৭৬ গ্রাম। পানিবন্দি প্রায় ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। সিলেট জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের সব উপজেলা আক্রান্ত হয়েছে। সুরমা-কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পাঁচ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আগেই প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
যমুনা ও ব্রক্ষ্মপুত্রের পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ,সরিষাবাড়ি ও মাদারগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। আগামী ৩দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নেত্রকোনায় উব্দাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এখনও বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ না করলেও তলিয়ে গেছে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক।
টানা বর্ষণে শেরপুরের দুই উপজেলার তিন নদীর বাঁধে ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্রবল মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পটুয়াখালীতে গত এক সপ্তাহ ধরে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস। জনজীবনে বেড়েছে ভোগান্তি। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলবদ্ধতা। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের।