দেশের স্বার্থ রক্ষায় সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধের আহবান
- আপডেট সময় : ০৫:৩০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
- / ১৫৫৮ বার পড়া হয়েছে
পোল্ট্রি এবং ফিশ খাদ্যে ব্যবহৃত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কাঁচামাল হলো সয়াবিন মিল। দেশীয় সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মোট চাহিদার মাত্র ৭০ শতাংশ সয়াবিন পাওয়া গেলেও বাকী ৩০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি আমদানি নির্ভর এ পণ্যটি আবারও বিদেশে রপ্তানীর অনুমোদন দেয় সরকার। সংকট না থাকায় এই অনুমোদন বললেন বাণিজ্য মন্ত্রী। আর এ খাতের সংশ্লিষ্টরা আশংকা করছেন, এতে দেশীয় ফিড মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পোল্ট্রি শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সময়ের সাথে দেশজুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে পোল্ট্রি শিল্প। বর্তমানে এ শিল্পের বাজার প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার। যেখানে তৈরী হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান।
হাঁস-মুরগি, মাছ ও গবাদি পশুর খাদ্য তৈরির প্রধান উপাদান হচ্ছে সয়া মিল। জানুয়ারি মাসজুড়ে প্রতিকেজি সয়া মিলের দাম ছিল ৪৬ টাকা।
দু সপ্তাহ আগে আমদানি নির্ভর এই পণ্যের রপ্তানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদনের পরই কেজিতে দাম বাড়ানো হয়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। এতে পোল্ট্রি ও ফিশ ফিডের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বাড়বে বলে জানান ফিআব এর সাধারণ সম্পাদক। যার প্রভাব পড়বে সাধারণ ভোক্তাদের উপর।
ফিআব সভাপতি বলেন, দেশের চাহিদা পূরণ না করে অন্যদেশে সয়াবিন মিল রপ্তানী করলে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আর প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, রপ্তানী সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাবে সংকুচিত হবে দেশের সম্ভাবনাময় পোল্ট্রিখাত।
অন্যদিকে বাজারে সয়ামিলের সংকট নেই বলে দাবী করেন খোদ বানিজ্যমন্ত্রী।
তবে, দেশের স্বার্থ রক্ষায় সয়াবিন মিল রপ্তানী বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।