দেশে অস্বাভাবিকভাবে সম্পদশালী হচ্ছেন একশ্রেণীর মানুষ
- আপডেট সময় : ০৬:১১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১
- / ১৫১৪ বার পড়া হয়েছে
দেশে ধনী আরও ধনী হচ্ছে, গরীব হচ্ছে আরো গরীব। এতে করে একশ্রেণীর মানুষের অর্থ-সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই অর্থ-সম্পদ দেশের ব্যাংক ও কালো বাজারের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে পাচার হচ্ছে অহরহ। করোনাকালে কর্মসংস্থান কমেছে নানা পেশার মানুষের। নিঃস্ব হয়ে শহর ছেড়েছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত অনেক পরিবার। হয়েছেন ঋণগ্রস্ত। এ অবস্থার পরিবর্তনে এবারের বাজেটে ধনী-গরীবের মধ্যে বিদ্যমান এই বিশাল অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার দাবি উঠেছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী ৪০ থেকে ৫০টি পরিবার নিয়ে বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠে কেডিসি বস্তি। বর্তমানে সেখানে দুই হাজারেরও অধিক পরিবার বসবাস করছে। সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে লোক সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার। আর এক থেকে দুই সদস্যের আয়ের উপর নির্ভর করে চলছে প্রতিটি পরিবার। তাদের আয় তো বাড়ছেই না, উপরন্তু তা কমে আসায় এখন বস্তিতে বাস করাও কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। এর উপর নিম্নবিত্ত একটি শ্রেণী কাজ হারিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে বস্তিতে। এভাবে নগরীর ৩৪টি বস্তিতে কমপক্ষে ৬০ হাজারের অধিক লোক অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার।
অর্থনৈতিক বৈষম্য দেশকে যাতে মারাত্মক সংকটের দিকে ধাবিত না করে এ জন্য সেই ধরনের একটি বাজেট ঘোষনার দাবি জানালেন এ শিক্ষক নেতা।
বরিশালের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার বাস্তবায়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প উদ্যোক্তাদের ঘুরে দাড়াতে বাজেটে এসএমই ঋণ বেশী বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানালেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে হলে কর্মসংস্থান এবং ইকোনমি জোন সৃষ্টিতে সরকারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, বললেন এ অর্থনীতিবিদ।
এদিকে, দেশের প্রতিটি বিভাগ নিয়ে পৃথক বাজেট ঘোষনার সাথে সাথে কোন কোন খাতে কত বরাদ্দ দেয়া হলো তা তালিকা আকারে প্রকাশের দাবি উঠেছে।