ধারণক্ষমতার চেয়ে কর্ণফূলী নদীকে অনেকগুণ বেশি ব্যবহার করছে চট্টগ্রাম বন্দর
- আপডেট সময় : ০২:০২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
ধারণক্ষমতার চেয়ে কর্ণফূলী নদীকে অনেকগুণ বেশি ব্যবহার করছে চট্টগ্রাম বন্দর। এই বাস্তবতায় দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না করলে উর্ধ্বমুখী আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের চাপ সামলানো কঠিন হবে বলে মনে করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাই যে-কোন মুল্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের কাজ শেষ করার তাগিদ তাদের। তবে বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, মাতারবাড়িকে ব্যবহার উপযোগী করতে হলে সড়ক পথের কানেকটিভিটির দিকে নজর দিতে হবে এখনই।
খাতা কলমে চট্টগ্রাম বন্দরকে সমুদ্রবন্দর বলা হলেও বাস্তবে জেটিসহ বন্দর সংক্রান্ত সব অবকাঠামোই কর্ণফূলী নদীর দু-পাড় ঘিরে। ছোট আকারের মাদার ভেসেল ছাড়াও দেড় হাজার লাইটার জাহাজসহ বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার নৌযান চলাচল করছে ৮শ’ মিটার প্রশস্তের এই নদীটিকে ঘিরে। আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য বাড়ার সাথে সাথে এই চাপ আরো বাড়ছে। যা আর সইতে পারছে না কর্ণফূলী। বিষয়টি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষও।
চট্টগ্রাম বন্দরের বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে বে-টার্মিনাল আর মাতারবাড়ি বন্দরকে। বে-টার্মিনালের কার্যক্রম এখনো খাতা-কলম আর পরিকল্পনায় সীমাবদ্ধ থাকলেও মাতারবাড়িতে লাগোয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের একই রকমের অবকাঠামোর কারণে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বন্দরও। তাই বে-টার্মিনালের আগেই মাতারবাড়িকে অপারেশনে আনতে জোর চেষ্টা চলছে এখন। ফুটেজ-২
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, ভরা জোয়ারেও ৯ মিটারের বেশি গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না চট্টগ্রাম বন্দরে। সেখানে ১৮ মিটারের বেশি গভীরতার জাহাজ ভিড়বে মাতারবাড়িতে। এতে পণ্যপরিবহণ খরচ কমবে অনেক। কিন্তু তারপরও ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে হলে সড়কপথের কানেক্টিভিটির উন্নয়ন জরুরী।
ইতিমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জাহাজ ভেড়াতে ১১ কিলোমিটার লম্বা চ্যানেল, ব্রেক-ওয়াটার ও একটি জেটিও নির্মিত হয়েছে মাতারবাড়িতে। এই চ্যানেলই ব্যবহার করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাই জেটি আর আনুষঙ্গিক অবকাঠামোগুলো তৈরী হলে শুরু করা যাবে বন্দরের কার্যক্রম। ফুটেজ-৩