নানা সমস্যায় জর্জরিত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স
- আপডেট সময় : ১১:১০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২
- / ১৭৭৮ বার পড়া হয়েছে
জনবল, পানি সংকট, জরাজীর্ণ ভবনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সটি। এটিই দেশের সবচেয়ে বড় হ্যাচারী। ৩০টি পুকুর নিয়ে, নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে আমিষের চাহিদা পুরণ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হলে হ্যাচারিটির উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন হ্যাচারীটির কর্মকর্তারা।
১৯৮৪ সালে কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামে দেশের সর্ববৃহৎ মৎস্য হ্যাচারি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১০৩ একর আয়তন বিশিষ্ট এই হ্যাচারিতে রয়েছে ৩০টি পুকুর। বর্তমানে এসব পুরানো দেশীয় জাতের মা মাছের সাথে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত মাছের রেণু উৎপাদন করা হচ্ছে এসব পুকুরে।
মৎস্য হ্যাচারীর ২৭টি পদের মধ্যে ১৯টি পদই শুন্য। জরাজীর্ন ভবন আর প্রাচীর ও রাস্তা সংস্কার জরুরী হলেও পড়ে আছে বছরের পর বছর। দীর্ঘদিন করা হয় না পুকুর পুনঃখনন। পুকুর পাড়ের বৈদ্যুতিক লাইন অকেজো থাকায় প্রায়ই মাছ চুরি হয়। পোনা বহনের জন্য নেই পিকআপ ও মিনি ট্যক্টর । এতে ব্যাহত হচ্ছে রেনু পোনা উৎপাদন।
জনবল নিয়োগ ও অতিপ্রয়োজনীয় সংস্কার করা হলে বলুহর কেন্দ্রীয় হ্যাচারির মান আরো বৃদ্ধি হবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
শিগগিরই সংস্কারসহ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক
হ্যাচারি কর্তৃপক্ষের হিসেবে, ঝিনাইদহ ছাড়াও পার্শবর্তী যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, রাজবাড়ী, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরার প্রায় ৬০ ভাগ রেনু পোনার যোগান দেয়া হয় এখান থেকে।