নিজেকে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান দাবী করলেও সাহেদের রিজেন্ট গ্রুপের নেই কোন নিবন্ধন
- আপডেট সময় : ০১:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
নিজেকে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান দাবী করলেও সাহেদের রিজেন্ট গ্রুপের নেই কোন নিবন্ধন। শুধু তাই নয়, ২০১৩ থেকে রিজেন্ট হাসপাতালসহ সাহেদের চালু করা সব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গেল ৭ বছরে একটিরও ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করা হয়নি, তাই আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও ভাবছে যৌথমূলধন কোম্পানী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর। এসএ টিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব জানান পরিদপ্তরের নিবন্ধক মকবুল হোসেন। অন্যদিকে সাহেদের বহুমুখী প্রতারনায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় চার দশকের পুরোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট গ্রুপ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহেদের এই ছবি। যার ক্যাপশন প্রজেক্ট ভিজিট। অনুসন্ধানী চোখে ধরা পড়ে পেছনের রিজেন্ট গ্রুপের লোগটি। কারণ সাহেদ তার হাসপাতাল কিংবা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তী সবখানে যে লোগটি ব্যবহার করে তা সম্পূর্ন ব্যক্তিক্রম।
রাতারাতি রিজেন্ট গ্রুপের দুটি লোগ কিভাবে হয়, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনুসন্ধানে নামে এসএ টিভি। প্রথমেই যাওয়া হয় বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ। ৩৬ নম্বর এই ভবনটির লেভেল ফাইভে শাহেদের ছবিতে থাকা এই প্রতিষ্ঠানে লোগো। যার যাত্রা শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালে। ভেতরে ঢুকে কথা হয় কোম্পানিটির উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে। তিনি জানান সাহেদের প্রতারণায় কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের প্রতিষ্ঠান।
এসময় তিনি আরো জানান, রিজেন্ট গ্রুপ হিসেবে তাদের নিবন্ধন নাম্বার সি ৯০৯৩৫/১১ এবং রিজেন্ট ডিজাইন অ্যাণ্ড ডেভেলপম্যান্ট লি: এর নিবন্ধন সি ৮৮১৪৭/১০। দুটি প্রতিষ্ঠানই সাহেদ তার নামে ব্যবহার করায় ২’শ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবী করে ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর সাহেদকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তবুও থামেনি তার প্রতারণা।
এবার পুরোনো রিজেন্ট গ্রুপের দেয়া তথ্য যাচাইয়ের পালা। যাওয়া হয়, কারওয়ানবাজার থাকা অফিস অব দ্যা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানী অ্যাণ্ড ফার্মসে ।সেখানে গিয়ে জানা যায় রিজেন্ট গ্রুপের নামে সাহেদের কোন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেই। শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠান চালুর পর থেকে আর কোন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেননি শাহেদ। তবে পরিদপ্তর চাইলে সাহেদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন বলে জানান এই আইনজীবী। প্রতারণা, ট্যাক্স ফাঁকিসহ সাহেদের বিরুদ্ধে ৫৯টি মামলা চলমান রয়েছে।