নিজের স্ত্রী ও খালাতো বোনকে সহোদর বোন বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরি
- আপডেট সময় : ০১:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৬৩০ বার পড়া হয়েছে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিজের স্ত্রী ও খালাতো বোনকে সহোদর বোন বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে চাকুরি পাইয়ে দেন জামালপুরের আশরাফুল আলম বিপ্লব। একই সঙ্গে নিজের চাকুরিটাও বাগিয়ে নেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপার শুরু হওয়ায় তিন শিক্ষকই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, তদন্ত করে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার রবিয়ারচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রহমান। তার ছেলে আশরাফুল আলম বিপ্লব, ২০১৬ সালে স্ত্রী নাসরিন আক্তার ও খালাতো বোন শাপলা আক্তারকে সহোদর (বোন) বানিয়ে সহকারি শিক্ষক পদে চাকুরির ব্যবস্থা করেন। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য হিসাবে আশরাফুল নিজেও নিয়োগ পান সহকারি শিক্ষক পদে। তারা তিনজনই কাগজপত্রে বাবা হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রহমানের নাম ব্যবহার করেন। সম্প্রতি বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্বরণ মিয়া নামের এক ব্যাক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ফাস হয় তার অকর্মের বিষয়। বর্তমানে নাসরিন আক্তার উপজেলার টুপকারচর, শাপলা আক্তার খেয়ারচর ও আশরাফুল আলম মাদারেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। তবে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তারা তিনজনই মোবাইল বন্ধ রেখে গাঢাকা দিয়েছেন।
তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ ব্যাপারে মুঠোফোনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এমন জালিয়াতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে কর্তপক্ষ এমনটি প্রত্যাশা এলাকার মানুষের।