নিম্নমানের ইট, খোয়া, রড, বালি দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে চারতলা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়
- আপডেট সময় : ০২:২৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
- / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে নিম্নমানের ইট, খোয়া, রড, বালি দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে চারতলা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়। মেঝেতে খোয়ার পরিবর্তে বালুর বস্তা দিয়ে তার উপর নাম মাত্র ঢালাই দিয়ে সরকারী অর্থ নয়ছয় করা হচ্ছে। এসব অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বাধা দিলেও মানছে না ঠিকাদার ও শিক্ষা প্রকৌশল শাখা।
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার জোতমোড়া গ্রামের শিক্ষানুরাগী নারী আমেনা খাতুন এলাকায় মেয়েদের শিক্ষাদানের জন্য ৫ শতক জমি দান করেছিলেন। সেই জমিতে নির্মিতব্য বিল্ডিংয়ে মেঝেতে খোয়ার পরিবর্তে বালির বস্তা দিয়ে ঢালাই দেয়ার সময়ে দেখে ফেলেন এলাকার কয়েকজন। শিক্ষানুরাগী আমেনা খাতুনের দেয়া জমিতে স্কুল বানানোর দুর্নীতি ও অনিয়ম দেখে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা।
রড ছাড়াই চারতলা ভবনের ভিত্তি পিলার নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে সেটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।
আগে টিনের ঘর ছিল জোতমোড়া সরকারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি। পরবর্তিতে সরকার ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল শাখার উদ্যোগে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ভবন বানানোর কার্যাদেশ দেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়েই ৪ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুয়ায়ী কাজ করা হচ্ছে বলে জানালেন, কুষ্টিয়া শিক্ষা প্রকৌশল শাখার এই কর্মকর্তা।
এক ফার্মেসী মালিকের কাছ থেকে ভবন বানানোর কন্ট্রাক্টটি কিনে নিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। স্থানীয়রা বলেন, নির্মাণ প্রকৌশল সম্পর্কে ওই ঠিকাদারের কোন ধারণাই নেই। তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার।
অভিযোগ পেয়ে ছুটে যান শিক্ষা প্রকৌশল শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী জায়েদুর রহমান। তবে ক্যামেরায় কথা বলতে রাজী হননি তিনি।
২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী কুমারখালী উপজেলার এই সরকারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেয় কুষ্টিয়া শিক্ষা প্রকৌশল শাখা। কার্যাদেশ পায় মাহমুদ ফার্মেসীকে।