নিম্নাঞ্চল থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করছে বন্যার পানি
- আপডেট সময় : ০১:২৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
- / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুর, হবিগঞ্জ, সিরজাগঞ্জ ও নেত্রকোনায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়, নতুন করে আরো অনেক এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। নিম্নাঞ্চল থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করছে বন্যার পানি।
জামালপুরে ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র,জিঞ্জিরামসহ সব নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ৬ উপজেলায় ৩৮ ইউনিয়নে পানিবন্দি প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ, গোচারণভুমি, কাঁচা-পাকা সড়ক। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
হবিগঞ্জের ২২ ইউনিয়নে প্রায় আড়াই শতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। দূর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি তীব্র সংকট। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে ত্রাণ সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্ট আরও ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৬১ এবং সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্ট ১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৬ উপজেলার ৩২ ইউনিয়নের শতশত গ্রামের হাজার হাজার মানুষের বাড়ীঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বেড়েছে দুর্ভোগ।
নেত্রকোনায় উব্দাখালী নদী বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার, ধনু নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার এবং কংস নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি প্রায় ১১ লাখ মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রে দেড় লক্ষাধিক মানুষ খাদ্য সংকটে। সড়ক ডুবে যোগাযোগ বন্ধ। জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।