নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা প্রথম সাত দিনে প্রায় ৪০টি আসনে অর্ধশতাধিক সংঘাত হয়েছে
- আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১৮৩৯ বার পড়া হয়েছে
১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরুর প্রথমদিন সাত দিনে প্রায় ৪০টি আসনে অর্ধশতাধিক সংঘাত হয়েছে। কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হামলা-ভাঙচুর, গুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। এতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪ জনের, আহত হয়েছেন প্রায় দেড়শতাধিক। সংঘাতে জড়াচ্ছেন মূলত ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নৌকার প্রার্থীর সমার্থকদের দ্বারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক ও নির্বাচনী প্রচারশিবিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অনুসন্ধান কমিটিগুলো সারা দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে ২১৮টি শোকজ নোটিশ দিয়েছে। টাঙ্গাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের গুলিতে আহত হয়েছে তিনজন।
ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর এবং কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় চিহ্নিত সন্ত্রাসী সম্রাট বাহিনীর হামলায় এ. কে. আজাদের ২ কর্মী আহত হয়।
এদিকে, ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের পোস্টার লাগাতে বাধা দেয়া হয়। এসময় তার কর্মী রুবেল মণ্ডলকে মারধর করা হয়।
রাতে নওগাঁ- ৫ আসনের নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিলের ৫ টি নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে প্রতিপক্ষ। পুলিশ জানায়, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। এদিকে, নওগাঁর মান্দা উপজেলার মৈনম বাজারে নির্বাচনি সহিংসতা মামলায় নৌকা প্রার্থীর তিনজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলায় নৌকা ও স্বতন্ত্রের কর্মী-সমর্থকসহ ২১২ জন আসামি।
বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিরো আলমের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও তার সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তাঁতী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর সমর্থকদের ঝাড়ু দিয়ে তাড়া দিয়েছে নৌকা প্রতীকের নারী কর্মী-সমর্থকরা। পরে হুইপের কর্মী-সমর্থকরা পালিয়ে যান। মানিকগঞ্জ-২ আসনের হরিরামপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থকদের ওপর নৌকার প্রার্থী মমতাজ বেগমের সমর্থকদের হামলার অভিযোগ ওঠেছে। লালমনিরহাট-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এতে ৯ জন আহত হয়েছেন।