নীতি-নির্ধারকদের উদাসীনতায় নিঃস্ব হচ্ছে ই-কমার্সের ক্রেতারা
![](https://www.satv.tv/wp-content/uploads/2023/10/lazy-Copy.jpg)
- আপডেট সময় : ০৭:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
গত ২০ বছরে দেশের ব্যবসা ক্ষেত্রে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছে ই-কমার্স। তবে, করোনাকালে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেড়েছে বহুমুখী প্রতারণা। ডিজিটাল দোকান খুলে ক্রেতাদের প্রায় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। এ ব্যাপারে নীতি-নির্ধারকদের উদাসীনতার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বর্তমানে ১৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নজরদারীতে রেখেছে সিআইডি, দুদকসহ সরকারি ৯টি সংস্থা। বিশিষ্টজনরাও মনে করেন, ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের প্রতারণার বিষয়ে সরকারের আরও আগে তৎপর হওয়া দরকার ছিলো।
নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ১৯৯৯ সালে দেশে শুরু হয় ই-কমার্স বা ইলেকট্রনিক কমার্স। প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে ২০১৩ সালে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও বেচা-বিক্রি বাড়ে কয়েকগুণ। গত বছর করোনাকালে ব্যাঙয়ের ছাতার মতো গজিয়ে উঠে বহু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। শুরুতে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ উদ্যোক্তারা এর মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন । গত ২০ বছরে ই-কমার্সের ব্যাপক বিস্তার হয়েছে। ই-ক্যাব ও স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী দেশে আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এর মধ্যে ই-ক্যাবের সদস্য ১৬’শ। কোম্পানি আছে ২০টি। ফেসবুক পেজ খুলে অনলাইনে ব্যবসা করে পাঁচ লাখ। বছরে বেচা-বিক্রি হয় ১৬ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি ই-কমার্সে ঢুকে পেড়েছে প্রতারক শ্রেনী। তাদের লোভনীয় প্রস্তাবের খপ্পরে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে লাখ লাখ ক্রেতা। ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা ডট কম, দালাল ডট কমের মতো বাহারী নাম আর লোভনীয় অফার দিয়ে ১৪টি প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারের উদাসীনতায় ই-কমার্স ব্যবসার নামে প্রতারণা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার কারণে ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীরাও বিব্রত। গ্রাহকদের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার আশঙ্কা করছে তারা।
নিবন্ধন থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রদান পর্যন্ত ই-কমার্সকে নজরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। আর, বিশ্বমানের পর্যবেক্ষন ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব।
কনজ্যুমার এসোসিয়েশন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রথম দিকে নিশ্চুপ থাকলেও, এখন নড়েচড়ে বসেছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। ধামাকা ডট কমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে সিআইডি। ই-অরেঞ্জের এমডি ও চেয়ারম্যানেক গ্রেফতার কতরেছে পুলিশ। ই-ভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।
তবে, এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেও নীতি-নির্ধারকদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে টিআইবি।
পুরনো ব্যবসায়ীদের ভোক্তা বান্ধব এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের সততার সাথে ই-কমার্স চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।