নীলফামারীর লক্ষাধিক নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে কুটির শিল্প
- আপডেট সময় : ০৮:১২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৭৯৯ বার পড়া হয়েছে
কুটির শিল্প নীলফামারীর লক্ষাধিক গ্রামীন নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। কৃষির বাইরে শিল্প খাতে কর্মসংস্থান সৃস্টি হওয়ায় নানা মূখী ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে গ্রাম গুলোতে। মধ্যস্বতভোগীদের হাত থেকে রেহাই পেতে জেলা পর্যায়ের উদ্যোক্তা মেলা আয়োজনের দাবি কেম্পানীগুলোর।
পাট ও হোগলা পাতা থেকে নানা কারু পন্য উৎপাদন করে মধ্যস্বতভোগীর মাধ্যমে বিদেশী ক্রেতার কাছে বিপনন করে লক্ষীচাপের শংকর রায়। আশে পাশের গ্রামের তিনশ মহিলা তার কোম্পানীর কাজ করে। শংকরের মত শতাধিক কর্মীর জুতা তৈরির কোম্পানী খুলেছে হাজীগঞ্জের আব্দুল মমিন। বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পৌছাতে সেও দ্বারস্থ মধ্যস্বত্বভোগীর। তবে ইপিজেডের বাইরে নিজ গ্রামেই রপ্তানীমূখী এসব কোম্পানীতে কাজ করতে আসা নারীরা জানাচ্ছেন তাদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতার কথা।
উদ্যোক্তারা বলছে সহজ শর্তের ঋন সুবিধা ও সরাসরি বিদেশি ক্রেতাদের সাথে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টি হলে উদ্দ্যোগতা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থানের। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বলছে এই কুটির শিল্পগুলি দেশের শিল্প খাতে নারীর ক্ষতমতায়ন ঘটাচ্ছে পাশাপাশি গৃহিনীদের শ্রমকেও দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে সম্পৃক্ত করেছে। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী নীলফামারীতে ১’শ প্রকারের কুটির শিল্পে সাত হাজার আটশত উদ্যোক্তা তালিকাভূক্ত। এসব কেম্পানীতে দক্ষ, আধাদক্ষ ও অদক্ষ মিলিয়ে ১লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি নারী পুরুষ কাজ করছেন।