নীলফামারীর ২৪০ একর পতিত জমিতে আউশ চাষ করে বাজিমাত
- আপডেট সময় : ০৪:১৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৫৭ বার পড়া হয়েছে
মাত্র চার মাস বীজ আলুর চাষ হলেও বাকী আট মাস অনাবাদী পড়ে থাকে ডোমার বিএডিসির প্রায় আড়াই’শ একর জমি। যুগ যুগ ধরে পতিত এমন ২৪০ একর জমিতে এবার আউশ ধানের চাষ করে বাজিমাত করেছে খামার কর্তৃপক্ষ। বাড়তি এই ফসলে ৪২০ মেট্রিকটন ধান ফলনের আশা বিএডিসি’র। আবার অসময়ের এই ধান চাষে কর্মসংস্থান হয়েছে বেকার কৃষি শ্রমিকদের।
যেদিকে চোখ যায় দেখা মিলবে বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত। আশ্বিনের এই অসময়ে সবুজ আর সোনালী মিশেলের এই ধান নজর কাড়বে যে কারও। এমন দৃশ্য চোখে পড়বে নীলফামারীর ডোমার বিএডিসি খামারে।
কৃষক পর্য়ায়ে বিতরণের উদ্দেশে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী এই চার মাস বীজ আলু উৎপাদন করা হয় ডোমারের এই কৃষি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে। বছরের বাকী ৮ মাস অনাবাদী পড়ে থাকে বিস্তীর্ণ জমি। এমন ২৪০ একর জমিতে এবার বীনা-২১, ব্রীধান-৪৮ ও ৯৮ জাতের আউশ ধানের চাষ করেছে খামার কর্তৃপক্ষ। ভালো ফলন হওয়ায় লক্ষমাত্রার অধিক ফলনের আশা বিএডিসি’র। কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব জমিতে বীজ ও অবীজ মিলে ৪২০ মেট্রিকটন ধানের উৎপাদন ছাড়িয়ে যাবে। যার বাজার মূল্য অন্তত ২ কোটি টাকা। মাত্র ১১৫ দিনে উৎপাদিত এসব বীজ দেশের আউশ ধানের ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন কর্মকর্তারা।
অসময়ের এই আউশ ধানে কপাল খুলেছে কৃষি শ্রমিকদেরও। ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে আয়ের সুযোগ বেড়েছে অলস সময় কাটানো কৃষি শ্রমিকদের।
এখানে উৎপাদিত ধান জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এমন প্রত্যাশা উপ-পরিচালকের।
এক ইঞ্চি জমি অনাবাদী থাকবেনা’ প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা পালনে এমন উদ্যোগ বলেও জানায় খামার কর্তৃপক্ষের।