পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের তুঘলকি কান্ডে বিস্মিত কর্তৃপক্ষ
- আপডেট সময় : ০২:২৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
- / ১৭৮৪ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের কর্মকান্ডে বিস্মিত কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনকে চাপে ফেলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্ট্রারের অপসারণসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকের ফাঁসির দাবী তুলে পোষ্টার ছাপানো হয়। তবে পোষ্টার প্রকাশের আগেই বিষয়টি নজরে আসলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হন। শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা না থাকায় অযোগ্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ছেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা ও যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক মেহেদী হাসান। নিয়োগ পাওয়ার যোগ্যতা না থাকলেও ২০১০ সালে ২ দশমিক ৫০ সিজিপিএ নিয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। যদিও নিয়োগ পেতে সিজিপিএ নির্ধারণ করা করা হয় ৩ দশমিক ৭৫। শিক্ষক নিয়োগে এই অনিয়ম সামনে আসলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাপে ফেলতে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা পুঁজি করে শিক্ষকদের ফাঁসির দাবীতে পোষ্টার ছাপেন এই শিক্ষক। তবে পোষ্টার লাগানোর আগেই বিষয়টি ধরা পরে।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করলেও তার বিরুদ্ধে কোন তদন্ত হয়নি। আর অনিয়মের আওতায় নিয়োগ পাওয়ার দায় নিতে চায় না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে অভিযোগ ও পোষ্টার ছাপানোসহ নিজের অযোগ্যতার বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এই শিক্ষক।
২০০০ সালের ৮ জুলাই পটুয়াখালী কৃষি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করে তৎকালিন সরকার। তবে ছাত্র বিক্ষোভ, অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য, দূর্নীতিসহ নানা কর্মকান্ডে প্রায়ই সংবাদ শিরোনাম হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়।