পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বৈশ্বিক অবস্থানে এক ধাক্কায় নয় ধাপ পিছিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর
- আপডেট সময় : ০১:৫০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বৈশ্বিক অবস্থানে এক ধাক্কায় নয় ধাপ পিছিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম লয়েডস লিস্ট সোমবার বিশ্বের ব্যস্ততম একশোটি বন্দরের এই তালিকা প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, সক্ষমতা ও সেবার মান বাড়লেও করোনার মন্দায় তারা পিছিয়ে পড়েছেন ওয়ার্ল্ড রেংকিংয়ে। আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য সহজীকরণে এখনো কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বাংলাদেশে। যা সমাধান করতে পারলে আগামী বছরেই আবার আগের অবস্থানে ফেরা সম্ভব। তবে সেজন্য তৈরী করতে হবে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ।
পণ্যবাহী কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বের শীর্ষ একশোটি বন্দরের তালিকা প্রকাশ করে আসছে লয়েড’স লিস্ট। ৮ বছর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিলো ৮৬তম। এরপর থেকে ধাপে ধাপে এগিয়ে গতবছর এই বন্দরের অবস্থান আসে ৫৮ নম্বরে। কিন্তু টানা ৭ বছরের অগ্রগতিতে ভাটা পড়েছে এবার। এবছরের তালিকায় দেশের প্রধান এই বন্দরের অবস্থান নেমেছে ৬৭ নম্বরে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, কন্টেইনার পরিবহনের সংখ্যা ছাড়া বন্দরের সেবা ও সক্ষমতার কোন কিছুই বিবেচনা করে না লয়েড’স লিস্ট। তাই এই তালিকার ওপর ভিত্তি করে বন্দরের মানদণ্ড বিচার করার সুযোগ নেই।
বন্দর ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বড় অংশীদার তৈরীপোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএ বলছে, করোনার কারণে গত বছরের উল্লেখযোগ্য সময় আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়েছে এবারের রেকিংয়ে। তবে আগামী বছরে পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াবে।
এদিকে, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স বলছে, কাস্টমস, ব্যাংক, শিপিং এজেন্ট, ল্যাবরেটরি, অফডকসহ অন্তত এক ডজন প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত কার্যক্রমের মাধ্যমেই একটি পণ্যবাহী কন্টেইনার খালাস কিম্বা জাহাজীকরণ হয়। পুরো এই চেইনের মধ্যে অনেক প্রতিবন্ধকতা এখনো আছে। যা দূর করতে না পারলে সক্ষমতার জায়গাটি প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ কন্টেইনারবাহী পণ্য আমদানী-রপ্তানী হয়, তার ৯৮ শতাংশই পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। ২০১৯ সালের প্রায় ৩০ লাখ টিউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ২০২০ সালে নেমে আসে ২৮ লাখ টিউসে। ফুটেজ-৪