পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুই যুবক মারা গেছে
- আপডেট সময় : ০২:০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
- / ১৬৭০ বার পড়া হয়েছে
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুই যুবক মারা গেছে। এর প্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
ভোর ৬টা থেকে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। তথ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি থেকে এ খবর জানানো হয়েছে।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত দুই যুবকের নাম মো. আলমগীর হোসেন ও মো. ফজলু। তারা ঢাকার নবাবগঞ্জের বাসিন্দা। তারা ১০৫ কিলোমিটার বেগে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার পর রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করায় চাপ পড়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে। সকাল থেকেই চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেল আরোহীরা। এদিকে, ফেরিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার সকাল থেকেই সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু। কারণে-অকারণে হাজার হাজার মোটরসাইকেল সেতুর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত দাপিয়ে বেড়ায়। এদের একজন সেতুর নাট বল্টু খুলে ফেলে।
সেতুতে টিকটকসহ নানা ধরনের কর্মকান্ড চালায় অনেকে। দুর্ঘটনায় মারা যায় দু’জন। এসব বেপরোয়া আচরণের কারনে অনির্দিষ্টকালের জন্য পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপার নিষিদ্ধ করে সেতু বিভাগ। এতে মাওয়া প্রান্তে টোল প্লাজায় ভিড় কমে গেছে।
দুর্ঘটনার পর থেকে সেতু কর্তৃপক্ষ- পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে। তবে, ভোগান্তিতে পড়েছে মোটরসাইকেল আরোহীরা।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম দিন মাওয়া টোলপ্লাজা দিয়ে মোটরসাইকেলসহ ২৬ হাজার ৫৮৯ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে, প্রায় এক কোটি ৯ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে ২৪ হাজার ৭২৭টি পার হয়েছে।
এদিকে, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে নদী পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছে মোটরসাইকেল আরোহীরা।
পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মোটরসাইকেল আরোহীদের পারপারের সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করেন তারা।