পদ্মা সেতুতে যাত্রী ও দর্শনাথীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
- আপডেট সময় : ০৬:০৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২
- / ১৫৬৫ বার পড়া হয়েছে
পদ্মা সেতুতে চলাচল করছে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যান। সকাল ছয়টায় মাওয়া ও জাজিরা দুই প্রান্ত থেকেই যান চলাচল শুরু হয়। প্রথম টোল দিয়েছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। সেতু দিয়ে নদী পার হতে সময় লাগছে মাত্র সাত থেকে আট মিনিট। এদিকে, ঘাটে ফেরিগুলো অলস সময় কাটালেও লঞ্চ ও স্পিডবোটে সীমিত আকারে যাত্রী যাতায়াত করছে।
সকাল ৬ টায় প্রথম পার হলো এক মোটর সাইকেল আরোহী। ১০০ টাকা টোল দিয়ে। যথেষ্ট উচ্ছ্বাস আর আনন্দ নিয়েই তার এই পার হওয়া। পদ্মা সেতুর ওপর যানবাহন দাঁড়ানো ও ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও তা মানছে না কেউ।
মাওয়া প্রান্তে গাড়ি চলাচলের আগে থেকেই টোল প্লাজার সামনে ছিল গাড়ির বিশাল চাপ। মধ্যরাত থেকেই এসব গাড়ি অপেক্ষা করছে। পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়াও আছে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল। ট্রাক ছাড়া যাদের বেশিরভাগই এসেছেন ঘুরতে। পুরো পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে পুলিশ। টোল প্লাজা থেকে ছোটার পর মানুষের মধ্যে দেখা গেছে অন্যরকম উচ্ছ্বাস।
পদ্মা সেতু পারাপারে সরকার নির্ধারিত টোল হার অনুযায়ী, পদ্মা সেতু পারাপারে মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, কার ও জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপে এক হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসে এক হাজার ৩০০ টাকা টোল পরিশোধ করতে হবে। যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই প্রান্তের ১৪টি টোল গেট চালু হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে—পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে টোল কার্যক্রম পরিচালনায় সচেষ্ট কর্তৃপক্ষ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হলো। আজ সারাদিন অলস সময় কাটিয়েছে দুই পাড়ে ব্যবহারকারী ফেরীগুলো।
পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের পর দিন প্রথমবারের মতো খুলনা থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাস শরীয়তপুর জাজিরার টোল প্লাজা হয়ে পদ্মা সেতু পার হয়। পদ্মাসেতু পাড়ি দিতে জাজিরা পয়েন্টে দেখা গেছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। যার মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেট কার, ট্রাক ছাড়াও মোটরসাইকেলের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত। আনন্দিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে পদ্মা নদী পার হয়ে মাওয়া প্রান্তে আসতে সময় লাগছে মাত্র সাত থেকে আট মিনিট।