পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগের মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলের সাথে যুক্ত হবে বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০২:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫২৪ বার পড়া হয়েছে
পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ চালু হলে ট্রান্স এশিয়ান রেলের সাথে যুক্ত হবে বাংলাদেশ। ফলে প্রতিবেশী ভারতসহ চীন-মিয়ানমারের সাথেও সরাসরি রেল যোগাযোগ গড়ে উঠবে বাংলাদেশের। আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ এই রেল-লাইন পুরোপুরি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।রেল সংযোগসহ পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
৪১টি স্প্যানের মধ্যে এ পর্যন্ত পদ্মাসেতুর ৩৯টি স্প্যান বসানো সম্পন্ন হয়েছে। ফলে রেলসংযোগসহ এখন দৃশ্যমান- দোতলা সেতুর প্রায় ৬ কিলোমিটার। আর বাকী থাকা দুটি স্প্যান বসানোর পর, বছরখানেকের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে পদ্মা সেতু। ফলে দেশের পূর্ব-পশ্চিমাঞ্চলের মাঝে গড়ে উঠবে সরাসরি যোগাযোগ।
এদিকে পদ্মা সেতুর কাজের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে দু’প্রান্তে রেল-লাইন তৈরির কাজও। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দ্রুত গড়ে তোলা হচ্ছে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ।
রেল সংযোগের বিশাল কর্মযজ্ঞকে গতিময় করতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেল স্টেশনের পাশে চীনা প্রতিষ্ঠান ‘সিআরইসি’ নির্মাণ করেছে রেল-স্লিপার তৈরির আধুনিক কারখানা। যেখানে কংক্রিট ও স্টিল স্ট্র্যাকচারে অটোমেটিক অ্যাসেম্বলি মেশিনে প্রতিদিন গড়ে ৫শ’ করে তৈরি হবে প্রায় ৪ লাখ স্লিপার।
বুধবার কারখানাটি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। চীনা প্রকৌশলী ও সাংবাদিকদের নিয়ে কারখানাটি পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, এই রেল-লাইন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক রেল-নেটওয়ার্কে যুক্ত করে পাল্টে দেবে যোগাযোগ কাঠামো।
আর রেল-লাইন নির্মাণের চীনা ঠিকাদার- সিআরইসির প্রকল্প পরিচালক বলেন, করোনার কারণে কাজের গতিতে বাধা পড়ায় নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন করা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে কিছু চ্যালেঞ্জ।
(২০২২ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুতে রেল চালুর জন্য এ প্রকল্প নেয়া হলেও করোনার কারণে কাজের গতি কমে যাওয়ায় কিছুটা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। তবে ২০২৪ সালের মধ্যে এটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এজন্য কাজের গতি বাড়াতে ভাঙ্গায় এই রেল স্লিপার কারখানা চালু করা হলো। এই রেল সংযোগ চালু হলে বাংলাদেশের পূর্ব-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হয়ে দক্ষিণ-পম্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে নব-দিগন্তের সূচনা করবে)
ইউরোপীয় স্ট্যাণ্ডার্ডে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ইক্যুইপমেন্ট ও অটোমেশন সমৃদ্ধ এই স্লিপার কারখানায় চীনা প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে কাজ করছে স্থানীয় দুই শতাধিক শ্রমিক।