পরকীয়া ও স্ত্রী নির্যাতন : প্রশাসন ক্যাডারের লঘুদণ্ড
- আপডেট সময় : ০৯:১৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
- / ১৬৩০ বার পড়া হয়েছে
অভিযুক্ত কর্মকর্তা মো. সারোয়ার সালাম ফেনীতে কর্মরত থাকার সময় বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অপর একজন চাকরিজীবী নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে
বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তা অপর একজন চাকরিজীবী নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে (পরকীয়া) জড়িয়ে পড়ায় “তিরস্কার” সূচক লঘুদণ্ড দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম মো. সারোয়ার সালাম। তিনি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বতর্মানে ঢাকার স্থানীয় সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
বিভাগীয় মামলা ও তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২৭ অক্টোবর সারোয়ার সালামকে লঘুদণ্ড দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সারোয়ার সালামের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুরে চাকরিকালে মৌলভীবাজারের একটি উপজেলার একজন নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া ও নিজের স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন এবং আবার বিয়ে করার অনুমতির জন্য স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিভাগীয় মামলা ও ব্যক্তিগত শুনানি হয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা গত ১৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেখতে পায়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা ফেনীতে কর্মরত থাকার সময় বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অপর একজন চাকরিজীবী নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনা অন্য অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কর্মকর্তা দণ্ড পাওয়ার যোগ্য বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
এ জন্য অভিযোগের মাত্রা ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় সারোয়ার সালামকে দোষী সাব্যস্ত করে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী “তিরস্কার” সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।