পরিবেশ আইন অমান্য করে ফসলি জমির উর্বর মাটি দিয়ে চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইটভাটা

- আপডেট সময় : ০৩:০৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০
- / ১৫৫৩ বার পড়া হয়েছে
পরিবেশ আইন অমান্য করে ফসলি জমির উর্বর মাটি দিয়ে চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইটভাটা। এতে শুধু ফসলি জমিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, ইটভাটা মালিক ও তাদের দালালদের নানা কৌশলের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে কৃষকরা। অন্যদিকে, মেহেরপুরের বেশিরভাগ ইটভাটায় টিনের চিমনি ব্যবহার করায় ধোঁয়া ও ছাইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আশপাশের ফসল। এদিকে, জেলার সব ইটভাটা যাতে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী চলে সে ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রসাশক।
ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে, উর্বর জমির মাটি দিয়েই চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার প্রায় ১শ’ ৭২টি ইটভাটা। যা সুষ্পষ্ট পরিবেশ আইনের লঙ্ঘন। এর ফলে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা।ইটভাটা মালিক ও দালালদের কৌশলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে তারা। কেউ জমি দিচ্ছেন টাকার আশায় আবার অনেকে জমি দিচ্ছেন বাধ্য হয়ে।
তবে, খাল ভরাটসহ পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে উল্টো পরিবেশ আইনকেই অবাস্তব বলছেন এই ইটভাটা মালিক।
উর্বর জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বাস্তবায়নের নানা উদ্যোগের কথা জানান এই কর্মকর্তা। আর পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে উর্বর মাটি ইটভাটায় ব্যবহার হচ্ছে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। তবে জেলা প্রশাসক বলছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তারা তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে, মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন ভাটায় ইট পোড়াতে কয়লার পরিবর্তে অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঠ। এতে কমছে বনজ সম্পদ, কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। জেলা প্রশাসক জানালেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবেশ দূষণকারী এসব ইটভাটা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।