১২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানের বাণিজ্যিক জাহাজকে ঘিরে ভারতপন্থী মিডিয়ায় অপপ্রচার চলছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথমবারের মতো সরাসরি একটি বাণিজ্যিক জাহাজ আসাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ও ভারতপন্থী মিডিয়ার অতিউৎসাহি ভুমিকাকে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ী নেতারা। উদ্যোক্তাদের দাবি রুটটি নিয়মিত চালু হলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতের মতো আলাদা কোনো চুক্তি বা সুবিধায় নয়, স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এসব পন্য বন্দরে নামানো হয়েছে।

সাম্প্রতি করাচি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গোর করা একটি বাণিজ্যিক জাহাজ নিয়ে এভাবেই অপপ্রচার চলছে ভারতীয় মিডিয়ায়।

ভারতীয় মিডিয়ায় জাহাজটিতে অস্ত্রের চালান এসেছে বলে দাবি করা হলেও কাস্টমসের তথ্য বলছে কন্টেইনারগুলোতে রয়েছে সোডিয়াম কার্বনেট, ডলোমাইট, চুনাপাথর, ম্যাগনেশিয়াম কার্বনেটের মতো বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল। এর বাইরে আছে পেঁয়াজ, আলু ও শুকনো খেজুর।

মুলত পানামা পতাকাবাহী এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং নামের জাহাজটি দুবাই থেকে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশে আসে গেল ১১ নভেম্বর। পরদিন ৩২৮ টি কন্টেইনার নামিয়ে রেখে স্বাভাবিক নিয়মে বাকি কন্টেইনার নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে নোঙ্গর তোলে জাহাজটি।

তবে এতদিন করাচি বন্দর থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে কোন জাহাজ আসার অনুমতি দিত না ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগ চলতো সিঙ্গাপুর কিংবা মালোয়েশিয়ার ট্রন্সশিপমেন্ট বন্দর হয়ে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন সরাসরি এই রুটটি চালু হলে সুফল আসবে জাতীয় অর্থনীতিতে।

শিপিং এজেন্ট বলছে, সম্প্রতি দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ কয়েকটি দেশের বন্দরকে যুক্ত করে এই সেবা চালু করেছে। যার অংশ হিসেবে করাচি থেকে একটি জাহাজ চট্টগ্রামে এসেছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতের মতো ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের আলাদা কোন চুক্তির আলোকে নয় শিপিং লাইনের চাহিদা অনুযায়ী জাহাজটিকে ভিড়তে দেয়া হয়েছে বন্দরের জেটিতে।

জাহাজটিতে পাকিস্তানের ১৮ টি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান ৩৩৭ টন কাঁচামাল রপ্তানী করেছে। পাকিস্তান ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা কনটেইনারে রয়েছে খেজুর, জিপসাম, স্ক্র্যাপ লোহা, মার্বেল ব্লক, কপার ওয়্যার, রেজিন, এলকোহল জাতীয় পাণীয়।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাকিস্তানের বাণিজ্যিক জাহাজকে ঘিরে ভারতপন্থী মিডিয়ায় অপপ্রচার চলছে

আপডেট সময় : ০৪:২৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথমবারের মতো সরাসরি একটি বাণিজ্যিক জাহাজ আসাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ও ভারতপন্থী মিডিয়ার অতিউৎসাহি ভুমিকাকে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ী নেতারা। উদ্যোক্তাদের দাবি রুটটি নিয়মিত চালু হলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতের মতো আলাদা কোনো চুক্তি বা সুবিধায় নয়, স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এসব পন্য বন্দরে নামানো হয়েছে।

সাম্প্রতি করাচি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গোর করা একটি বাণিজ্যিক জাহাজ নিয়ে এভাবেই অপপ্রচার চলছে ভারতীয় মিডিয়ায়।

ভারতীয় মিডিয়ায় জাহাজটিতে অস্ত্রের চালান এসেছে বলে দাবি করা হলেও কাস্টমসের তথ্য বলছে কন্টেইনারগুলোতে রয়েছে সোডিয়াম কার্বনেট, ডলোমাইট, চুনাপাথর, ম্যাগনেশিয়াম কার্বনেটের মতো বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল। এর বাইরে আছে পেঁয়াজ, আলু ও শুকনো খেজুর।

মুলত পানামা পতাকাবাহী এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং নামের জাহাজটি দুবাই থেকে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশে আসে গেল ১১ নভেম্বর। পরদিন ৩২৮ টি কন্টেইনার নামিয়ে রেখে স্বাভাবিক নিয়মে বাকি কন্টেইনার নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে নোঙ্গর তোলে জাহাজটি।

তবে এতদিন করাচি বন্দর থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে কোন জাহাজ আসার অনুমতি দিত না ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগ চলতো সিঙ্গাপুর কিংবা মালোয়েশিয়ার ট্রন্সশিপমেন্ট বন্দর হয়ে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন সরাসরি এই রুটটি চালু হলে সুফল আসবে জাতীয় অর্থনীতিতে।

শিপিং এজেন্ট বলছে, সম্প্রতি দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ কয়েকটি দেশের বন্দরকে যুক্ত করে এই সেবা চালু করেছে। যার অংশ হিসেবে করাচি থেকে একটি জাহাজ চট্টগ্রামে এসেছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতের মতো ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের আলাদা কোন চুক্তির আলোকে নয় শিপিং লাইনের চাহিদা অনুযায়ী জাহাজটিকে ভিড়তে দেয়া হয়েছে বন্দরের জেটিতে।

জাহাজটিতে পাকিস্তানের ১৮ টি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান ৩৩৭ টন কাঁচামাল রপ্তানী করেছে। পাকিস্তান ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা কনটেইনারে রয়েছে খেজুর, জিপসাম, স্ক্র্যাপ লোহা, মার্বেল ব্লক, কপার ওয়্যার, রেজিন, এলকোহল জাতীয় পাণীয়।