পাঠ্যবইয়ে অজস্র ভুল আর অসংগতিতে ম্লাণ সরকারের সাফল্য
- আপডেট সময় : ০৪:৫১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
- / ১৫৫৬ বার পড়া হয়েছে
প্রতি বছর সারাদেশে ৪ কোটি শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করছে সরকার। কিন্তু বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছাতে গিয়ে তাড়াহুড়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। ফলে, পাঠ্যবইয়ে থাকা অজস্র ভুল আর অসংগতিতে ম্লাণ হচ্ছে সরকারের সাফল্য। পাঠ্যবইয়ে ভুল আর তথ্য বিকৃতির জন্য এনসিটিবির কর্মকর্তাদের অদক্ষতা আর উদসীনতাকে দায়ী করছে বিশেষজ্ঞরা।
পহেলা জানুয়ারীর সারাদেশে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যের নতুন বই তুলে দেয় সরকার। তবে সরকারের এই অর্জনের সবটাই ম্লাণ করে দিচ্ছে পাঠ্যবইয়ে থাকা অজস্র ভুল, অসংগতি আর ইতিহাস বিকৃতির নেতিবাচক খবরে। তাতে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সরকারের এ উদ্যোগ।
প্রতিবছরই বই বিতরণ উৎসবের পরেই জৌলুশ হারিয়ে বিবর্ণ হতে থাকে ভুল আর ত্রুটিপূর্ণ রঙিন মলাটের বইগুলো। এসব ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে, ঘুম ভাঙে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবির। শুরু হয় দৌঁড়ঝাপ, তদন্ত কমিটি আর লঘুদণ্ডে দায় মোচনের চেষ্টা। বিগত কয়েক বছর ধরে এটিই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে এনসিটিবিতে।
প্রশ্ন উঠছে, দেশের উচ্চমানের শিক্ষক, লেখকদের সমন্বয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কারিকুলাম প্রণয়নের পরও কেন ঠেকানো যাচ্ছে না পাঠ্যবইয়ের ভুল আর ইতিহাস বিকৃতি?
পাঠ্যবইয়ে ভুল আর অসংগতির জন্য এনসিটিবির কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতার অভাবকেই দায়ী করছেন এই বিশেষজ্ঞ।
এবারো শিক্ষাথীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ পর, মাধ্যমিকের বইগুলোতে থাকা অসংখ্য ‘ভুল’ উঠে আসে গণমাধ্যমে। এসব ভুল প্রকাশের পর সংশোধনের উদ্যোগ নেয় এনসিটিবি। পাঠ্যবইয়ের ভুল সংশোধনে বৈঠকে বসেছে রিভিউ কমিটিও। কিন্তু তার অগ্রগতি কতোদূর?
পাঠ্যবইয়ে তথ্যগত ভুল না হলেও, গণমাধ্যমে কিছু বিষয় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে কতৃপক্ষের উদাসীনতার কঠোর সমালোচনা করছেন শিক্ষাবিদরা।