পানি দিতে পারছে না গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প
- আপডেট সময় : ১১:২৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৬০০ বার পড়া হয়েছে
পদ্মা নদীতে কাঙ্ক্ষিত পানি না থাকায় বোরো মৌসুমে এবারও পানি দিতে পারছে না গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প। এতে বেড়েছে ঝিনাইদহ অংশের হাজার হাজার কৃষকের উৎপাদন খরচ। তবে পাম্প নষ্টের অজুহাত দেখিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, কুষ্টিয়ায় ৩টি পাম্পের মধ্যে ২টি নষ্ট হওয়ায় ঝিনাইদহ ও মাগুরায় পানি সরবরাহ করেনি তারা। দ্রুত পানি সরবরাহের দাবী কৃষকসহ সচেতন মহলের।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজলোর গাড়াগঞ্জ এলাকার গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের প্রধান সেচ খাল এটি। গত মৌসুমে এই খালে কিছুটা পানি সরবরাহ করা হলেও এবার এখনো পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ফারাক্কা বাধ দিয়ে পদ্মায় কাঙ্ক্ষিত পানি না আসায় জিকে প্রকল্পের সেচ বন্ধ। ফলে বোরো’র ভরা মৌসুমে খাঁ খাঁ করছে খালটি।
খালটির পাশেই ধানের আবাদ করতে ডিজেল চালিত গভীর নলকূপ দিয়ে ভূগর্ভস্থ পানির সেচ দিচ্ছে ওই এলাকার কৃষকরা। গভীর নলকূপের পানি দিয়ে কোথাও চলছে জমি প্রস্তুতের কাজ, আবার কোন জমিতে চলছে ধানের চারা রোপণ। অথচ আগে এই খালের পানি দিয়েই ধানের আবাদ করতেন তারা। কৃষকরা বলছেন, জিকে সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে যেখানে খরচ হয় ৩০০ টাকা, সেখানে ডিজেল চালিত পাম্পের পানি দিয়ে আবাদ করতে লাগছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তাছাড়া জিকে খালের পানিতে ধানের ফলনও বেশি হয়। তাই ভরা মৌসুমে দ্রুত জিকের পানি সরবরাহের দাবি তাদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পানি সরবরাহের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু পদ্মায় পানির স্তর অনেক কম থাকায় পাম্পে প্রয়োজনীয় পানি উঠছে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপা উপজেলায় জিকে সেচ খালের আওতায় সেচযোগ্য জমি রয়েছে ২৭ হাজার হেক্টর।