পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে জুম চাষীদের ফসল তোলার আনন্দে ভাটা
- আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের ঘরে ঘরে এখন জুম ফসল তোলার আনন্দ। তবে অনাবৃষ্টি আর খরায় এবার ফলন কম হওয়ায় আনন্দে ভাটা পড়েছে খানিকটা। কাঙ্খিত ফলন না হওয়ায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কৃষি বিভাগ জানায়, জুমচাষ আধুনিকায়ন করতে কাজ করছেন তারা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ পদ্ধতি জুম চাষ। বন-জঙ্গল আগুনে পুড়িয়ে পাহাড় ন্যাড়া করে লাঙ্গল না দিয়েই রোপন করা হয় ধান ও অন্যান্য ফসল। প্রধানত ধান রোপন করা হলেও পাশাপাশি আদা, হলুদ, মরিচ, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, কলা গাছসহ বিভিন্ন সবজি রোপন করা হয়। পাহাড়িদের অধিকাংশই জুম চাষ করে সারা বছরের খাদ্য চাহিদার অধিকাংশ পূরণ করে। বর্ষা শেষ হলেই শুরু হয় জুমের ফসল কাটা। তবে চাষিরা বলেছেন, অনাবৃষ্টি আর খরায় এ বছর ফলন কমেছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছর রাঙামাটিতে ৭ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে জুম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বৃষ্টির অভাবে চাষাবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে।
উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জন না হওয়ায় এবার খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জুম চাষে ফলন বৃদ্ধি ও স্থায়ী করতে গবেষণা চলছে বলে জানা, কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
জুম কেটে ফসল তোলার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শুরু হবে নৃ-গোষ্ঠিদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চিবর দান।