পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে মিশ্র ফল চাষের অপার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে
- আপডেট সময় : ০২:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
আমের পরে পেঁপের মৌসুম। ক’দিন পরই ফলন আসবে আনারসের। থোকায় থোকায় আমলকি আর সতেজ লটকনের ফলন দৃষ্টি কাড়বে যে কারো। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে মিশ্র ফল চাষের অপার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। পতিত জমির ব্যবহার মিশ্র ফল চাষে সচ্ছলতা এনেছে স্থানীয় চাষীদের। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বিপ্লব ঘটানো সম্ভব মিশ্র ফলের উৎপাদনে।
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার দুর্গম শান্তিপুর গ্রাম। পথের ধারে পাহাড়ের ঢালে মনযোগ দিয়ে বাগান পরিচর্যা করছেন রেশমি চাকমা। দুই একর আয়তনের এই পাহাড়টি তার আয় রোজগারের একমাত্র অবলম্বন। ক’বছর আগে পতিত থাকলেও এখন সেখানে চাষ করেছেন মিশ্র ফল। গেল মৌসুমে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার আম আর ১ লাখ টাকার আনারস বিক্রি করেছেন তিনি। ক’দিন বাদেই আমলকি আর লটকনও বাজারে তুলবেন। এরপর ফলন আসবে মাল্টা আর আনারসের। এভাবেই বছর জুড়ে ফলন আসছে শুধু একটি জমি থেকে।
রেশমী চাকমার বাগান থেকে একটু এগোলে চোখে পড়ে আরেকটি মিশ্র বাগান। যেখানে গাছ থেকে পেপে পেড়ে প্যাকিং করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন কয়েকজন। শুধু খাগড়াছড়ি নয়, তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে এখন এমন মিশ্র ফল বাগানের দেখা মিলবে। উদ্যোক্তারা জানান, সারা বছর আয় হওয়ায় এমন চাষে ঝুঁকছেন তারা।
রাস্তার পাশে বা শহর এলাকার পাহাড়গুলোতে এমন পরিকল্পিত চাষাবাদ হলেও দুর্গম পাহাড়গুলো এখনো রয়েছে পতিত। এসব এলাকার বাসিন্দাদের মিশ্র ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে ফল উৎপাদনে বিপ্লব ঘটানোর পাশাপাশি পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়নের ধারায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, এক ইঞ্চি জমিও পতিত না রাখার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করছেন তারাও। পার্বত্য এলাকায় বসবাস করা ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠি সম্প্রদায়ের মানুষরা যুগ যুগ ধরেই প্রচলিত চাষাবাদে অভ্যস্ত। তাই তাদেরকে পরিকল্পিত চাষাবাদে আগ্রহী করে তুলতে আরো বেশি উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে। এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ফুটেজ-২