পায়রা বন্দরকে ৫শো কোটি টাকা অনুদান দিতে বাধ্য হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
- আপডেট সময় : ০৪:২০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫২৩ বার পড়া হয়েছে
সরকারি সিদ্ধান্তে পায়রা বন্দরকে প্রায় ৫ শো কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। বড় অংকের এই টাকার যোগান দিতে গিয়ে নিজেই সংকটে পড়তে যাচ্ছে এককভাবে দেশের সবচেয়ে বড় এই অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে এই অনুদানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে বন্দর সিবিএ। আপত্তি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারাও। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে গেল ৬ মাস ধরেই আয় কমেছে। এর ওপর বড় অংকের এই অনুদানের যোগান দিতে গিয়ে খবিষ্যতে দুর্বল হয়ে পড়বে চট্টগ্রাম বন্দর।
খুব শিগগিরি বড় আকারে ব্যবহারের সম্ভাবনা না থাকা সত্ত্বেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পায়রায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিচ্ছে সরকার। আর এর জন্য অর্থের যোগান দিতে হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরকে। ক’বছর আগে প্রায় ৫০ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণের পর এবার ৪৬১ কোটি ৯০ লাখ টাকা অনুদান দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যে বন্দরের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পাসও হয়েছে।
বন্দরের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে খোদ বন্দরেরই শ্রমিক কর্মচারীরা।
জাইকার এক সমীক্ষা বলছে, ২০২৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কন্টেইনার পরিবহনের পরিমান পরিমান ৩৫ লাখ টিউস ছাড়িয়ে যাবে। বিপরীতে পায়রা বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমান দাড়াবে ৪ লাখের কাছাকাছি। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার চেয়ে অন্তত ৬ গুণ পিছিয়ে থাকা একটি প্রতিষ্ঠান বেশি গুরুত্ব পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বন্দর ব্যবহারকারীরা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের মতো কস্ট বেইজড ট্যারিফ পদ্ধতিতে পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে টাকা নিলে তাতে চার্জ বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়বে।
পরিসংখ্যন বলছে, গেল অর্থবছরে বন্দরের আয় হয়েছিলো দু’হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। যা আগের বছরের চেয়ে ১৩ কোটি টাকা কম। বিপরীতে একই বছর বন্দরের অপারেশন ব্যয় ছিলো দু’হাজার একশো ১৪ কোটি টাকা। যা আগের বছরের চেয়ে ৯৫ কোটি টাকা বেশি।আর করোনার কারণে গেল ৬ মাসেই আই কমেছে আড়াইশো কোটি টাকারও বেশি। এরওপর অনুদান দিতে হচ্ছে পায়রাকে।
নিজস্ব তহবিল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের একটি বর্ধিত অংশ হিসেবে নির্মিত হচ্ছে মাতারবাড়ি বন্দর। এছাড়া লালদিয়া ও বে-টার্মিনাল প্রকল্পও শুরু হয়েছে। এরওপর পায়রাকে এগিয়ে নেয়ার চাপও বাড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরের কাঁধে।