পি কে হালদারের ২২ বছরের কারাদন্ড
- আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৭২০ বার পড়া হয়েছে
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া মামলার অন্য ১৩ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার দশম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম দুপুরে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। দুর্নীতির কোনো মামলায় এবারই প্রথম পি কে হালদারের সাজার রায় এটি। আদালত পর্যবেক্ষনে বলেছে, উন্নত রাষ্ট্রগুলো সহযোগিতা না করলে, অর্থ পাচার প্রতিরোধ করা কঠিন।
দেশের ব্যাংকিং খাতের ইতিহাসে অর্থ লোপাটের এক ধুর্ত কারিগর ভারতের কারাগারে বন্দি প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। সাবেক এনআরবি গ্লোবাল, বর্তমানে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদার তার সহযোগীদের মালিকানাধীন ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লুটে নেয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। এসব দুনীতির অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ৫২টি মামলা হয়। এর মধ্যে ৮০ কোটি টাকা পাচার ও ৪২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে, ২০২০ সালের ৮ই জানুয়ারি মামলা করে দুদক। এ মামলায় গতবছর ১০ ফেব্রুয়ারী পিকে হালদারসহ ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। পরে ৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করে আদালত।
বিচার চলাকালে মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষে ১০৬ সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। ভারতের কারাগারে থাকায় পিকে হালদারের অনুপস্থিতি থাকলেও গ্রেফতার অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনন্দিতার উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দশম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক। রায়ে অর্থ পাচার রোধে আদালতের পর্যবেক্ষন তুলে ধরেন দুদকের আইনজীবী।
তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, উচ্চ আদালতে যাবেন তারা। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন স্থানে নামে বেনামে ৯৩৩ কোটি টাকার প্লাট, ফ্লট, বাড়ী ও জমি কেনার পাশাপাশি অসংখ্য বান্ধবীকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে।