হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, ব্যবস্থাপকসহ ১০ জন আটক
- আপডেট সময় : ০২:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫২১ বার পড়া হয়েছে
মানসিক সমস্যা নিয়ে সোমবার রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মারধরে মারা যান সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আনিসুল করিম। তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপকসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। সংস্থার জৈষ্ঠ্যে কর্মকর্তাকে হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এদিকে, হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
মানসিক সমস্যার কারণে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আনিসুল করিমকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে।কাউন্টারে যখন ভর্তির ফরম পূরণ করছিলেন, তখন কয়েকজন কর্মচারী তাঁকে দোতলায় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর জানানো হয় আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন।
এরপর তারা তাঁকে দ্রুত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মারধরেই মারা গেছেন এই মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা। এই অভিযোগে ব্যবস্থাপকসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, দুপুরে শ্যামলীতে উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। মেধাবী এই পুলিশ কর্মকর্তার অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়ে উপপুলিশ কমিশনার হারুন জানান, এই ক্ষতি অপূরণীয়। অভিযুক্ত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনার কথা জানান তিনি।
আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন আনিসুল।