১১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম রায়

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু প্রতিরোধ আইনের প্রথম রায় দিয়েছে বিচারিক আদলত। পুলিশ হেফাজতে জনি হত্যার রায়ে আজ এই পর্যবেক্ষন দেয়া হয়। এ সময় এস আই জাহিদসহ পল্লবী থানার ৩ পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন সাজা ও ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক ইমরুল কায়েশ। পাশাপাশি পুলিশের দুই সোর্স সুমন ও রাসেলকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ। তবে এই আইনকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কালো আইন বলে মন্তব্য করে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আসামীপক্ষ।

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সোর্সের সঙ্গে কথাকাটাটির জেরে পল্লবী থানায় টানা কয়েকদিন পুলিশী নির্যাতনে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পেশায় গাড়ি চালক জনি। অবস্থা বেগতিক দেখে জনিকে নিয়ে আসা হয় মিরপুর আধুনিক হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু প্রতিরোধে আইনে মামলা করেন ঘটনার সাক্ষী ও জনির ভাই রকি।

৬ বছরের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে আসে রায় ঘোষণার দিন। আর রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতে আসে জনির মত আরো এক হতভাগা সুজনের পরিবার। ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই একই ভাবে হত্যা করা হয় সুজনকে। চোখে মুখে একরাশ বেদনা নিয়ে স্বজন হারা মানুষগুলো জানান, বিদ্যমান আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ সাজার বিধান রাখা উচিত।

এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এজলাসে তোলা হয় পুলিশের সাবেক এস আই জাহিদসহ ৩ আসামীকে। সংক্ষিপ্ত রায় পড়া শেষে ৫ আসামীর দণ্ড ঘোষণা করে আদালত। এসময় রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন আইনজীবীরা।

একই সঙ্গে আসামীদের সাজা সম্পর্কেও কথা বলে রাষ্ট্রপক্ষ।

তবে আসামীপক্ষ জানায় আপিলের আগে অর্থ পরিশোধের বিধান থাকায় আইনটির গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

রায়ের পর নিজেদের সন্তুষ্টি জানায় জনির মা ও ভাই।

আদালতের এই হেফাজতে রায় নির্যাতন বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও প্রত্যাশা করেন আইনজীবীরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম রায়

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু প্রতিরোধ আইনের প্রথম রায় দিয়েছে বিচারিক আদলত। পুলিশ হেফাজতে জনি হত্যার রায়ে আজ এই পর্যবেক্ষন দেয়া হয়। এ সময় এস আই জাহিদসহ পল্লবী থানার ৩ পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন সাজা ও ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক ইমরুল কায়েশ। পাশাপাশি পুলিশের দুই সোর্স সুমন ও রাসেলকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ। তবে এই আইনকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কালো আইন বলে মন্তব্য করে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আসামীপক্ষ।

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সোর্সের সঙ্গে কথাকাটাটির জেরে পল্লবী থানায় টানা কয়েকদিন পুলিশী নির্যাতনে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পেশায় গাড়ি চালক জনি। অবস্থা বেগতিক দেখে জনিকে নিয়ে আসা হয় মিরপুর আধুনিক হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু প্রতিরোধে আইনে মামলা করেন ঘটনার সাক্ষী ও জনির ভাই রকি।

৬ বছরের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে আসে রায় ঘোষণার দিন। আর রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতে আসে জনির মত আরো এক হতভাগা সুজনের পরিবার। ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই একই ভাবে হত্যা করা হয় সুজনকে। চোখে মুখে একরাশ বেদনা নিয়ে স্বজন হারা মানুষগুলো জানান, বিদ্যমান আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ সাজার বিধান রাখা উচিত।

এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এজলাসে তোলা হয় পুলিশের সাবেক এস আই জাহিদসহ ৩ আসামীকে। সংক্ষিপ্ত রায় পড়া শেষে ৫ আসামীর দণ্ড ঘোষণা করে আদালত। এসময় রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন আইনজীবীরা।

একই সঙ্গে আসামীদের সাজা সম্পর্কেও কথা বলে রাষ্ট্রপক্ষ।

তবে আসামীপক্ষ জানায় আপিলের আগে অর্থ পরিশোধের বিধান থাকায় আইনটির গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

রায়ের পর নিজেদের সন্তুষ্টি জানায় জনির মা ও ভাই।

আদালতের এই হেফাজতে রায় নির্যাতন বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও প্রত্যাশা করেন আইনজীবীরা।