প্রকল্প বরাদ্দ পেতে দীর্ঘসূত্রিতায় ভাঙ্গন রোধে কার্যক্রম কাগজেকলমে সীমাবদ্ধ
- আপডেট সময় : ০২:০২:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
বরিশাল জেলার ২১টি নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে অসহায় হয়ে পড়েছে ভাঙ্গন কবলিত মানুষগুলো।প্রকল্প বরাদ্দ পেতে বছরের পর বছর লেগে যাওয়ায় ভাঙ্গন রোধে কার্যক্রম কাগজেকলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। বিস্তীর্ণ জনপদ রক্ষায় প্রকল্পের বাজেট বাড়লেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আশাহত ভুক্তভোগীরা । তাই নিজেদের সামর্থ দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা ।
বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামছড়ি এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক কীর্তনখোলা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই ট্রলারযোগে আসা-যাওয়া করতে হয় এলাকাবাসীকে । ভাঙ্গন রোধে বছরের পর বছর আশ্বাস দেয়া হলেও বরাদ্দের অভাবে এর বাস্তবায়ন নেই।
বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ২১টি নদীর ভাঙ্গনে হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমি থেকে শুরু করে শত শত ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন এবং এলজিইডি’র সড়ক বিলীন হয়ে গেছে । এখনো বহু ঘরবাড়ি-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষি জমি ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে ।
নদী ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প বাস্তবায়নের পদ্ধতি পরিবর্তনে সরকারের কাছে দাবি জানালেন এলাকাবাসী।
প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন না হওয়ায় ভাঙ্গনকবলিত এলাকা বাড়ার সাথে সাথে জনগনের ক্ষতি বাড়ছে তেমিন সরকারের আর্থিক ব্যয়ও বৃদ্ধি পায়। পরবর্তীতে প্রকল্প মুখথুবড়ে পড়ার আশংকা থাকে বলে জানালেন নদী বাচাও আন্দোলনের এ নেতা। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়ানোর আশ্বাসের কথা শোনালেন।
এদিকে শেখ হাসিনা সেনানিবাস ও বরিশাল বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকা রক্ষায় নদীর ভাঙ্গন রোধে ৪ হাজার কোটি টাকার ৭টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু ওই সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ৫ থেকে ৭টি ধাপ পার হতে হবে।
পিটিসি: