প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম এক লাফে ৯ টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০২:৪৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
- / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
দেশের বাজারে সরবরাহ সংকট না থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম এক লাফে ৯ টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। অনুমোদনও দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে গত ৬ মাসের ব্যবধানে ৪ দফায় প্রতি লিটার তেলে ৫০ টাকারও বেশি দাম বাড়লো বাংলাদেশে। আমদানীকারকদের দাবি, সরকার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন না করলে পেঁয়াজ ও চালের মতোই অস্থিরতা তৈরী হতো ভোজ্যতেলের বাজারেও। আর ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন – ক্যাব বলছে, ব্যবসায়ী সিণ্ডিকেটকে সুবিধা দিতেই দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
দেশের সবচে’ বড় পাইকারী বাজার- চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের চিত্র এটি। পাইকারদের গুদামে ভোজ্যতেলের কোন সংকট নেই। ডিও পাঠালে মিল থেকেও আসছে পর্যাপ্ত তেলের যোগান। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন দোকানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকার আশেপাশেই। পাইকারদের দাবি- বাজারে আগের দামে কেনা যে পরিমাণ তেলের মজুদ আছে সেই তুলনায় চাহিদাও নেই। তাই এ মুহুর্তে দাম বাড়ানোর সাথে বাস্তবতার কোন মিল পাচ্ছেন না তারা।
৬ মাস আগে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম যেখানে ৭শো ডলারের নিচে ছিলো, এখন তা সাড়ে ১৪শ’ ডলার ছাড়িয়েছে। তেল বিপণনকারীদের দাবি- এই বাস্তবতায় সরকার আগে থেকে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন না করলে ক’দিনের মধ্যেই অস্থিরতা তৈরী হতো ভোজ্যতেলের বাজারে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিলেও দেশের বাজারে আগেই অস্থিরতা তৈরীর চেষ্টা করেন অনেকে। কিন্তু তেলের ক্ষেত্রে সরকার যেহেতু আগেভাগে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাই দাম বাড়লেও বাজারে অস্থিরতা তৈরী হবে না বলেই প্রত্যাশা তাদের।
তেলের বাজারে এই অস্থিরতা চলতি বছরের শুরু থেকেই। বাজারে দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের অগ্রিম ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি এর আগে সরকার মেনে নিলেও তাতে অস্থিরতা কমেনি একটুও। এতে ক্ষুব্ধ ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠকরা।