প্রধানমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরও নিশ্চিত হয়নি রাজশাহীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা
- আপডেট সময় : ০৭:৩১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরও স্বাভাবিক হয়নি রাজশাহীর প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টারগুলোতে সাধারণ চিকিৎসা সেবা। এতে করোনা-বিহীন রোগীরাও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে দুর্ভোগে পড়ছেন। কিডনী ও ক্যান্সারের মতো রোগে- জীবন শংকায় থাকলেও সময়মতো ডায়ালাইসিস ও থেরাপিও নিতে পারছেন না অনেকেই। তবে চিকিৎসকদের সংগঠন- বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন- বিএমএ নেতারা বলছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রাইভেট চেম্বার চালু করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সব চিকিৎসককে।
পাবনার আটঘরিয়া থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে রাজশাহী এসেছেন বৃদ্ধ ওসমান গনি। ক্যান্সারে আক্রান্ত মেয়ের থেরাপি দেয়া জরুরি। এর আগে ২৭মার্চ ও ৯ এপ্রিল থেরাপি দেয়ার তারিখ বেঁধে দিয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আসতে পারেন নি। তবে মেয়েকে বাঁচানোর তাগিদে আর ঘরে বসে থাকতে পারেন নি বৃদ্ধ বাবা। পথে পথে নানা বাধা ডিঙিয়ে রাজশাহীতে পৌঁছেছেন চিকিৎসকের খোঁজে।
এখনো অনেক রোগীই জরুরি স্বাস্থ্যসেবার আশায় আশেপাশের জেলা থেকে আসছেন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে।
তবে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিযারির পর কিছু জুনিয়র চিকিৎসক চেম্বারে বসছেন সীমিত পরিসরে। কিন্তু কাঙিক্ষতসংখ্যক রোগী মিলছে না বলেও দাবি তাদের।
এদিকে, চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ’র নেতারা বলছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় চিকিৎসকরা চেম্বারে বসতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন না এখনো। তবে চিকিৎসাসেবা পুরোপুরি সচল রাখার উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
রাজশাহীতে ১১৫টি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। রাজশাহী বিভাগ ছাড়াও খুলনা বিভাগের রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন এখানে।