প্রবাস জীবনের কষ্টার্জিত সব অর্থ জমা করেছিলেন ব্যাংকে : দেশে ফিরে দেখেন অ্যাকাউন্ট শূন্য
- আপডেট সময় : ০৯:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২
- / ১৬২৪ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ প্রবাস জীবনের কষ্টার্জিত সব অর্থ জমা করেছিলেন ব্যাংকে। টাকার পরিমাণ ৮৩ লাখ ৫৬ হাজার। দেশে ফিরে দেখেন অ্যাকাউন্ট শূন্য। দুর্নীতিবাজ ব্যাংক কর্মকর্তারা ভুয়া চেক দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে সব টাকা। তুঘলকি এই কান্ড ঘটেছে সিলেটে ওয়ান ব্যাংকের ইসলামপুর শাখায়। হতভাগ্য রেমিট্যান্স যোদ্ধার নাম আব্দুর রউফ। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত না হলে, বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত হবেন প্রবাসীরা।
সিলেটের শাহ পরান থানার ইসলামপুর বাজারে অবস্থিত ওয়ান ব্যাংক শাখা।
এখানে অ্যাকাউন্ট খোলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুর রউফ। যেখানে তিনি রেমিট্যান্স পাঠান ৮৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
রউফের শ্রমে ঘামে অর্জিত সেই টাকা ভুয়া চেক দিয়ে আত্মসাৎ করেছে ব্যাংকটির তৎকালীন ক্যাশিয়ার সরফরাজ আলী পাপলু। ওয়ান ব্যাংকের ওই সময়ের ম্যানেজারসহ আরো দুজন পাপলুর জালিয়াতির সঙ্গী ছিলেন। মার্চ ২০১৪ থেকে মে ২০১৭ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ২৩টি ভুয়া চেকের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে পাপলু ও তার দোসররা।
সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, আব্দুর রউফের স্বাক্ষর জাল করার প্রমাণ।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দেশের স্বার্থেই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বর্তমানে মামলাটি সিলেটের দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। আসামীদের জামিনের বিরোধীতায় দুদক যুক্তি তুলে ধরবে বলেও জানান তিনি।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, শুধু অর্থ আত্মসাৎ নয়, আসামীদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
এরই মধ্যে ২৬ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে, আসামীরা তাদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে বলে জানান আব্দুর রউফের আইনজীবী।
ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আস্থা পুনুরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকর ভূমিকা রাখবে এমন প্রত্যাশাও জানান আইনজীবীরা।