প্রযুক্তির ছোয়ায় বদলে যাচ্ছে উত্তরের জেলা নীলফামারীর কৃষি পদ্ধতি
- আপডেট সময় : ০২:৫৩:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
- / ১৬৪১ বার পড়া হয়েছে
প্রযুক্তির ছোয়ায় বদলে যাচ্ছে উত্তরের জেলা নীলফামারীর কৃষি পদ্ধতি। সনাতনী পদ্ধতির বদলে যুক্ত হয়েছে রাইস সিডার কিংবা রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি। সময়োপযোগী এসব যন্ত্র ব্যবহারের ফলে একদিকে কৃষিকাজ যেমন সহজ ও লাভজনক হচ্ছে।অন্যদিকে তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা।
নীলফামারীর তরণীবাড়ি গ্রামে গেলেই দেখা মিলবে এরকম যন্ত্রের। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার নামক এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয় ধানের চারা রোপনের কাজে। পাশের ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা গ্রামের মোস্তাফিজুর ও আল-আমিন নামের দুই যুবক পরিচালনা করছেন কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে পাওয়া এই যন্ত্রটি।
স্নাতকোত্তর পাস করে মোস্তাফিজ বেসরকারী ব্যাংকে আর আল-আমিন চাকরী করতেন একটি এনজিওতে। তবে দুজনই চাকরী ছেড়ে কৃষি উদ্যোক্তা হয়েছেন ।
কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হওয়া কিংবা কৃষি শ্রমিকের সংকট। যুগযুগ ধরে এসব যেন বড় প্রতিবন্ধকতা কৃষির অগ্রগতির জন্য। তবে বর্তমানে রাইস সিডার, ট্রান্সপ্লান্টার কিংবা কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি কৃষিতে যুক্ত হওয়ায় সহজ হয়েছে উত্তরের কৃষি।
নতুন যুক্ত হওয়া রাইস সিডার যন্ত্রটি দিয়ে এক বিঘা জমির জন্য প্রয়োজনীয় বীজ বপন করতে সময় লাগে মাত্র দেড় মিনিট । আর রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে এক বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপনে সময় লাগে মাত্র ৩৫ মিনিট ।
কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণের পাশাপাশি কৃষক গ্রুপ গঠন করে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণসহ নানা সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ। এর ফলে কৃষক সংকট যেমন দূর হবে। তেমনি কম খরচে কৃষি হবে লাভজনক এমনটাই বলছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
খামার যান্ত্রীকরণ প্রকল্পের আওতায় জেলায় ১২ টি রাইস সিডার, ৫২ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার এবং ৮৫ টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে কৃষকদের মাঝে।