প্রস্তুতি আর সমন্বয়ের মধ্যেই সময় পার করছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ

- আপডেট সময় : ০২:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এখনো প্রস্তুতি আর সমন্বয়ের মধ্যেই সময় পার করছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ। শনাক্ত হওয়া অন্তত চার হাজার রোগীর জন্য ৪শো শয্যার ব্যবস্থাও হয়নি। অথচ বেসরকারী দুটি সংগঠনের পরিচালিত দুটি হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য উন্মুক্ত করার আগ্রহ জানালেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সিভিল সার্জন বললেন, দক্ষ জনবলের অভাবে ইচ্ছা থাকা সত্বেও এসব হাসপাতাল ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।
আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতাল। করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই আলাদা একটি ভবনকে করোনার জন্য ডেটিকেটিড হিসেবে ঘোষণা দেয়ার আগ্রহের কথা জানালেও, এগিয়ে আসেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার থেকে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ৩০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করেছে হাসপাতালটি। স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতা পেলে শয্যা সংখ্যা ১০০-তে উন্নতি করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সীতাকুণ্ডের বিএসবিআরএ হাসপাতাল। বেসরকারী এই হাসপাতালটির মালিক বাংলাদেশ শিপ ব্রেকিং এন্ড রিসাইক্লিং এসোসিয়েশন। ২শো শয্যার এই হাসপতালটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে ধর্ণা দিচ্ছে সংগঠনটির সদস্যরা। প্রয়োজনে পরিচালনা ব্যয় এমনকি আইসিইউ বেডও কিনে দিতে চেয়েছে সংগঠনটি। কিন্তু এখানেও এগিয়ে আসেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।
পুর্ণাঙ্গ এসব হাসপাতাল থাকতে স্বাস্থ্য বিভাগের আগ্রহ বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার আর পরিত্যাক্তভবনসহ নানা স্থাপনা প্রস্তুতকরণের দিকে। বিষয়টি অস্বীকার করে দক্ষ জনবলের অভাবকেই দুষলেন সিভিল সার্জন।
চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত তিন হাসপাতাল পুর্ণাঙ্গভাবে আর দুটি স্থাপনার আংশিক ব্যবহার করা হচ্ছে করোনা রোগীদের চিকিৎসায়। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪শোর বেশী রোগী চিকিৎসার সক্ষমতা নেই বন্দরনগরীতে।