০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রায় ১০ লাখ পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হবার ঝুঁকি নিয়েই এখন কর্মস্থলে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:১৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০
  • / ১৫৮০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাভার শিল্পাঞ্চল এবং ঢাকা ইপিজেডের দেড় হাজার পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার মারাত্মক ঝুঁকি নিয়েই জীবন-জীবিকার তাগিদে রয়েছেন এখন কর্মস্থলে। সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে বড়, মাঝারী, ক্ষুদ্র– কোন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানেই সম্ভব হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি মানা। পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের গাদাগাদি করে কাজ করায় করোনা সংক্রমণ মহামারি আকার ধারণ করতে পারে বলে আশংকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বাড়ীওয়ালাদের।

শ্রমিক অধ্যুষিত সাভার-আশুলিয়া এবং ধামরাইয়ে প্রায় এক কোটি মানুষের বাস। ঈদের ছুটিশেষে ঢাকা ইপিজেডের তিন লাখ শ্রমিকসহ বিভিন্ন পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক করোনা ভাইরাসের ঝুকি নিয়েই কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই এখনো শ্রমিকদের জন্য তেমন কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। করোনা শংকা নিয়েই পোশাক শ্রমিকদের টানা ১০/১২ ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে। ফলে, সাভার অঞ্চলে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আড়াইমাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫শ’ এবং মারা গেছেন ৭ জন।

গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি, শ্রমিকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জানান, দেশের এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে উঠেছে। আবার কর্মস্থলে না গেলে চাকরিই থাকছে না। আবার পোশাক কারখানাগুলোও চালু রাখা দরকার।

বিদেশের রপ্তানী বাজারে অর্ডার বাতিলের শংকা আর পোশাক শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা রক্ষার সংগ্রাম যেন পরস্পর বিরোধী হয়ে উঠেছে এই করোনাকালে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে শ্রমিকদের দু’তিন ভাগ করে দুই থেকে তিন শিফটে কারখানা চালানোর তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি বাড়াতে হবে তৈরিপোশাকের রপ্তানী মূল্যও।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রায় ১০ লাখ পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হবার ঝুঁকি নিয়েই এখন কর্মস্থলে

আপডেট সময় : ০৭:১৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০

সাভার শিল্পাঞ্চল এবং ঢাকা ইপিজেডের দেড় হাজার পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার মারাত্মক ঝুঁকি নিয়েই জীবন-জীবিকার তাগিদে রয়েছেন এখন কর্মস্থলে। সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে বড়, মাঝারী, ক্ষুদ্র– কোন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানেই সম্ভব হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি মানা। পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের গাদাগাদি করে কাজ করায় করোনা সংক্রমণ মহামারি আকার ধারণ করতে পারে বলে আশংকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বাড়ীওয়ালাদের।

শ্রমিক অধ্যুষিত সাভার-আশুলিয়া এবং ধামরাইয়ে প্রায় এক কোটি মানুষের বাস। ঈদের ছুটিশেষে ঢাকা ইপিজেডের তিন লাখ শ্রমিকসহ বিভিন্ন পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক করোনা ভাইরাসের ঝুকি নিয়েই কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই এখনো শ্রমিকদের জন্য তেমন কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। করোনা শংকা নিয়েই পোশাক শ্রমিকদের টানা ১০/১২ ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে। ফলে, সাভার অঞ্চলে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আড়াইমাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫শ’ এবং মারা গেছেন ৭ জন।

গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি, শ্রমিকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জানান, দেশের এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে উঠেছে। আবার কর্মস্থলে না গেলে চাকরিই থাকছে না। আবার পোশাক কারখানাগুলোও চালু রাখা দরকার।

বিদেশের রপ্তানী বাজারে অর্ডার বাতিলের শংকা আর পোশাক শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা রক্ষার সংগ্রাম যেন পরস্পর বিরোধী হয়ে উঠেছে এই করোনাকালে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে শ্রমিকদের দু’তিন ভাগ করে দুই থেকে তিন শিফটে কারখানা চালানোর তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি বাড়াতে হবে তৈরিপোশাকের রপ্তানী মূল্যও।