০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রায় ২০ লাখ প্রক্রিয়াজাত চামড়া জমে আছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ট্যানারীতে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০
  • / ১৫২৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার প্রভাবে রপ্তানি না হওয়ায় প্রায় ২০ লাখ প্রক্রিয়াজাত চামড়া জমে আছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ট্যানারীতে। তাই নতুন চামড়া কিনতে আগ্রহী নন ট্যানারী মালিকরা। তাদের দাবি সহজ শর্তে ঋণের পাশাপাশি রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ না করলে কোরবানীর ঈদে চামড়া কিনতে পারবেন না । আর আড়তদাররা বলছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় গত বছর ট্যানারী মালিকদের সঙ্গে বকেয়া পরিশোধের যে সমঝোতা হয়েছিলো তার সমাধান না হলে গেলবারের মতো এবারো নষ্ট হবে বিপুল পরিমান চামড়া।

গত বছর কোরবানী ঈদের ছবি এটি। দাম না পেয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া বিপুল পরিমান পশুর চামড়া এভাবেই ডাম্পিং করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। অভিযোগ ওঠে ব্যবসায়ী ও ট্যানারী মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে শত কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে।

দেশজুড়ে আলোচিত এই ঘটনার পর চামড়া ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেয় সরকার।এফবিসিসিআই’র মধ্যস্থতায় আড়তদার ও ট্যানারী মালিকদের সঙ্গে কয়েকদফায় বৈঠকে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে বকেয়া পরিশোধসহ সরকার নির্ধারিত মুল্যে চামড়া কেনা-বেচা করার নির্দেশনাও দেয়া হয়। কিন্তু এক বছরেও সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান আড়ৎদাররা।

আড়তদারদের মাধ্যমে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহের পর প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রপ্তানি করেন ট্যানীরী মালিকরা। উৎপাদিত চামড়ার ৬০ শতাংশ চীন, ২০ শতাংশ ইতালি, ১৮ শতাংশ স্পেন, ৫ শতাংশ তাইওয়ানসহ অন্তত ১০ টি দেশে রপ্তানী করে বাংলাদেশ। কিন্তু করোনার কারণে গেল ৪ মাস ধরে রপ্তানীমুখী দেশগুলোতে লকডাউন থাকায় বিপুল পরিমান চামড়ার স্টক করতে হয়েছে। এই বাস্তবতায় নতুন চামড়া কিনতে আগ্রহী নন ট্যানরী মালিকরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক মাসেরও কম সময় বাকি আছে কোরবানী ঈদের। এখনো বকেয়া টাকা পরিশোধ কিংবা নতুন চামড়ার চাহিদা আসেনি ট্যানারী থেকে। তাই গেলবারের মতো এবারো চামড়া নষ্ট হওয়ার আশংকা তাদের ।  বছরে ৪৮ থেকে ৫০ লাখ পিস পশুর চামড়া পাওয়া যায় দেশে। এরমধ্যে ৩৫ লাখেরও বেশি চামড়া আসে শুধু কোরবানীর ঈদকে ঘিরে। ফুটেজ-২

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রায় ২০ লাখ প্রক্রিয়াজাত চামড়া জমে আছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ট্যানারীতে

আপডেট সময় : ০১:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০

করোনার প্রভাবে রপ্তানি না হওয়ায় প্রায় ২০ লাখ প্রক্রিয়াজাত চামড়া জমে আছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ট্যানারীতে। তাই নতুন চামড়া কিনতে আগ্রহী নন ট্যানারী মালিকরা। তাদের দাবি সহজ শর্তে ঋণের পাশাপাশি রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ না করলে কোরবানীর ঈদে চামড়া কিনতে পারবেন না । আর আড়তদাররা বলছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় গত বছর ট্যানারী মালিকদের সঙ্গে বকেয়া পরিশোধের যে সমঝোতা হয়েছিলো তার সমাধান না হলে গেলবারের মতো এবারো নষ্ট হবে বিপুল পরিমান চামড়া।

গত বছর কোরবানী ঈদের ছবি এটি। দাম না পেয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া বিপুল পরিমান পশুর চামড়া এভাবেই ডাম্পিং করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। অভিযোগ ওঠে ব্যবসায়ী ও ট্যানারী মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে শত কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে।

দেশজুড়ে আলোচিত এই ঘটনার পর চামড়া ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেয় সরকার।এফবিসিসিআই’র মধ্যস্থতায় আড়তদার ও ট্যানারী মালিকদের সঙ্গে কয়েকদফায় বৈঠকে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে বকেয়া পরিশোধসহ সরকার নির্ধারিত মুল্যে চামড়া কেনা-বেচা করার নির্দেশনাও দেয়া হয়। কিন্তু এক বছরেও সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান আড়ৎদাররা।

আড়তদারদের মাধ্যমে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহের পর প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রপ্তানি করেন ট্যানীরী মালিকরা। উৎপাদিত চামড়ার ৬০ শতাংশ চীন, ২০ শতাংশ ইতালি, ১৮ শতাংশ স্পেন, ৫ শতাংশ তাইওয়ানসহ অন্তত ১০ টি দেশে রপ্তানী করে বাংলাদেশ। কিন্তু করোনার কারণে গেল ৪ মাস ধরে রপ্তানীমুখী দেশগুলোতে লকডাউন থাকায় বিপুল পরিমান চামড়ার স্টক করতে হয়েছে। এই বাস্তবতায় নতুন চামড়া কিনতে আগ্রহী নন ট্যানরী মালিকরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক মাসেরও কম সময় বাকি আছে কোরবানী ঈদের। এখনো বকেয়া টাকা পরিশোধ কিংবা নতুন চামড়ার চাহিদা আসেনি ট্যানারী থেকে। তাই গেলবারের মতো এবারো চামড়া নষ্ট হওয়ার আশংকা তাদের ।  বছরে ৪৮ থেকে ৫০ লাখ পিস পশুর চামড়া পাওয়া যায় দেশে। এরমধ্যে ৩৫ লাখেরও বেশি চামড়া আসে শুধু কোরবানীর ঈদকে ঘিরে। ফুটেজ-২