প্রায় ৭ লাখ গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রামের প্রায় ৪ হাজার খামারী
- আপডেট সময় : ০১:৫০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
কোরবানীকে সামনে রেখে মোটাতাজা করা প্রায় ৭ লাখ গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রামের প্রায় ৪ হাজার খামারী। সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, করোনায় পশুর হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তাই হাটগুলোতে ক্রেতা সংকটের পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে বিদেশী গরু প্রবেশের আশংকা করছেন খামারীরা। আর প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, করোনার কারণে এবার কোরবানীর পশুর চাহিদা কিছুটা কমতে পারে। তবে ভারত ও মায়ানমারের সীমান্ত সীল করে দিতে পারলে লোকসানে পড়বে না খামারীরা।
গেল ৫ বছরের পরিসংখ্যন বলছে, প্রতি বছর ৭ থেকে ১০ শতাংশ করে কোরবানী পশুর চাহিদা বেড়েছে চট্টগ্রামে। বিপরীতে স্থানীয় খামারীদের উৎপাদিত পশুর পরিমানও বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ২০১৬ সালে এই বন্দরনগরীতে কোরবানীর পশুর পরিমান ছিলো ৫ লাখের কিছু বেশী। সেবার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশুর পরিমান ছিলো সাড়ে তিন লাখের কাছাকাছি। তিন বছরের মাথায় গেল কোরবানীতে পশু জবাই হয়েছিলো প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। যার ৬ লাখেরও বেশী পশুর যোগান দিয়েছিলো স্থানীয় খামারীরা। এই ধারাবাহিকতায় এবারো কোরবানীর ঈদকে টার্গেট করে প্রায় ৭ লাখ পশু মোটা-তাজা করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে করোনার বিস্তার রোধে পশুরহাটগুলোতে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে যে কোন মুল্যে। প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক নতুন নতুন বাজারের আয়োজন করবে সিটি কর্পোরেশন।আর পুলিশ বলছে, সংক্রমণ প্রতিরোধকে প্রাধন্য দিয়েই পশুর হাটগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন তারা। প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছে, গেল চারমাস ধরে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশুর পরিমান বেশী। তাই স্থানীয় খামারীদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে হলে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে পশু প্রবেশে কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই।
১ হাজার ৮ শো টি রেজিস্টার্ড ডেইরীফার্মসহ ছোট-বড় অন্তত ৮ হাজার খামার রয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। করোনার কারণে গেল চারমাসে গো-খাদ্যের দাম উর্ধ্বমুখী থাকায় খরচ বেড়েছে খামারীদের। তাই কোরবানীর হাটে লোকসান হলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বেন তারা।