ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষন ও হত্যা মামলার আসামী বন্ধুকযুদ্ধে নিহত
- আপডেট সময় : ১১:১৩:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪৯ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষন ও হত্যা মামলার আসামী বন্ধুকযুদ্ধে নিহত।
ফরিদপুরের চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে ধর্ষন শেষে হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামি ইয়াসিন সেক পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তিন পুলিশ সদস্য। রবিবার দিবাগত রাত দুইটার সময় শহরের পূর্বখাবাসপুরস্থ লঞ্চঘাট জোড়া ব্রিজের সামনে এ বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত আলামিন সেক শহরের ওয়ারলেস পাড়ার মনি সেকের পুত্র। তার বিরুদ্ধে ৩ টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আসামীর ছবি সংগ্রহ করে আসামী ইয়াছিনকে চিহিৃত করা হয়। এরপর জনগনের সহয়তায় তাকে আটক করা হয়। রাতে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে আসামী ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয়। আর এসময় নিহত হয় আসামী ইয়াছিন। আর এসময় আহত হয় তিন পুলিশ সদস্য। পরে ইয়াসিনকে উদ্ধার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে বিকেল বেলা রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যায় ইয়াছিন নামে ওই ধর্ষক। পরের দিন পাশের টেলিগ্রাম অফিসের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারন করা কিশোরী ফাতেমা নিখোঁজ হওয়ার ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার রাত ৮টার দিকে জেলা পুলিশের অফিসিয়াল পেইজে ১১ সেকেন্ড ও ১৯ সেকেন্ডের দু’টি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। একইসাথে প্রকাশিত ওই ফুটেজে চিহ্নিত সন্দেহভাজন খুনির পরিচয় সনাক্ত করে দিতে পারলে ব্যক্তিগতভাবে তাকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেয় মামলার তদন্তদকারী কর্মকর্তা।