ফেব্রুয়ারিতে উন্মুক্ত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল
- আপডেট সময় : ০৩:২২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
- / ১৬৮১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ ৯৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল। ডিসেম্বরে কথা থাকলেও কাজ শেষে না হওয়ায় আটকে গেছে উদ্বোধন। আর নগরবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানেলের সুফল পেতে কক্সবাজার পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বে-টার্মিনাল প্রকল্প শুরু করতে হবে দ্রুত।
চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীর মোহনায় নির্মিত টানেলের কাজ শেষ পর্যায়ে। এরইমধ্যে ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন শেষে যান চলাচলের উপযোগী হয়েছে দুটি টিউবই। এখন ইলেট্রো ম্যাকানিক্যাল ওয়ার্কের কাজ চলছে। নদীর তলদেশে অক্সিজেনের ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক লাইটিং সিস্টেম যা বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় হবে। আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম ইনস্টলের কাজ জোরেশোরে চলছে। জানুয়ারির মধ্যে সবকাজ শেষ করে ফেব্রুয়ারিতেই দুটি টিউব একসঙ্গে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করার কথা জানান প্রকল্প পরিচালক।
নিরাপত্ত্বার দিক বিবেচনায় টানেলের দুই মাথায় স্ক্যানার স্থাপনের পাশাপাশি যানজট এড়াতে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে সংযোগ সড়কের ডিজাইনে কিছু পরিবর্তন আনার কথা জানান তিনি।
তবে নগরবিদরা বলছেন, ওয়ান সিটি টু টাউনের যে কনসেপ্ট নিয়ে টানেলের কাজ শুরু হয়েছিলো, তা এখনো অধরাই রয়েছে। নদীর ওপারে উন্নয়ন কাজের কিছুই হয়নি।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, টানেলের সুফল পেতে হলে আনোয়ারা ইকোনোমিক জোনসহ বে-টার্মিনাল নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে সরকারকে।
৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা ব্যয় ধরে ২০১৯ সালে কর্ণফূলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ কাজ শুরু করে সেতু বিভাগ। দুই দফায় ব্যয় বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সবশেষ ডলারের বিপরীতে টাকার অবমুল্যায়ন হওয়ার অজুহাতে, প্রকল্প ব্যয় ১১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশংকা সংশ্লিষ্টদের।