ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর আজ, বিচারকাজে গড়িমসি
- আপডেট সময় : ০৬:৩৫:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ১১ বছর আজ। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাবা নুর ইসলামের সাথে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছিলেন ফেলানী। এসময় মই বেয়ে কাঁটাতার পেরোনোর সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় ফেলানী। দীর্ঘ ১১ বছরে ফেলানী হত্যার বিচার না হলেও গত এক বছরে একই সীমান্তে আরও ১৮ জনকে হত্যা করেছে বিএসএফ।
ফেলানী হত্যার সময় তারা বাবা নূর ইসলাম প্রাণে বেঁচে গেলেও গুলীতে ঝাঁঝরা কিশোরী মেয়ের মরদেহ দীর্ঘসময় ঝুলে থাকে কাঁটাতারে। পরে এ নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতে ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেয় নিজ বাহিনীর আদালত। ফেলানীর বাবা-মা রায় প্রত্যাখ্যান করলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় বিচার কার্যক্রম শুরু করে ভারত। পরের বছর ২ জুলাই অভিযুক্তকে আবারও নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেয়া হয়। এরপর ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচারের আশায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যৌথভাবে রিট আবেদন করেন ফেলানীর বাবা ও মানবাধিকার সংগঠন- সুরক্ষা মঞ্চ। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রিট আবেদনটি গ্রহণ করলেও এখনও ন্যায় বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার। বিচারকাজে গড়িমসি করে শুধু তারিখের পর তারিখই পরিবর্তন হয়েছে বারবার। ফেলানীর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনীটারী গ্রামে নিজ বাড়িতে মিলাদ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে তার পরিবার।