ফ্লাগ প্রটেকশন আইন বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা না থাকায় লোকশানই কাটাতে পারছে না বিএসসি
- আপডেট সময় : ০১:৪৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৬০৬ বার পড়া হয়েছে
ফ্লাগ প্রটেকশন আইন বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা না থাকায় লোকশানই কাটাতে পারছে না বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন বা বিএসসি। প্রতিষ্ঠানটির দাবি প্রাথমিকভাবে শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আইন মানতে বাধ্য করতে পারলে ঘুরে দাঁড়াতে পারতো সম্ভাবনাময় এই রাষ্ট্রয়াত্ব সংস্থাটি। তবে আমদানী-রপ্তানীকারকেরা বলছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে আস্থায় আসতে না পারলে ঘুরে দাঁড়ানোর কোন সম্ভাবনায় নেই বিএসসির। আর শিপিং সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধুমাত্র পরিচালনা নীতির জটিলতার কারণে বিপুল সম্ভাবনাময় এই খাতটি ঝিমিয়ে পড়ছে দিনে দিনে।
স্বাধীনতার পরও ৩৮টি সমুদ্রগামী জাহাজের মালিকানা ছিলো বাংলাদেশ শিপিং করর্পোরেশন বা বিএসসির। কিন্তু নির্ধারিত বয়সসীমা অতিক্রম করাসহ নানান কারণে ধাপে ধাপে ৩৬টি জাহাজই বিক্রি করে দেয় বিএসসি। দুটি জাহাজ নিয়ে ডুবতে বসা এই প্রতিষ্ঠানটিকে ফের টেনে তোলার চেষ্টা করছে সরকার। গেলবছর সরকারী সিদ্ধান্তে নতুন করে আরো ৬ টি জাহাজ যুক্ত হয়েছে বিএসসির বহরে। কিন্তু তারপরও কাঙ্খিত লাভের মুখ দেখেনি প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবি, ফ্লাগ প্রোটেকশন আইন অনুযায়ী নৌ-পথে সবধরণের আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব বিএসসির । কিন্তু এই আইন বাস্তবায়নে কড়াকড়ি করার সুযোগ না থাকায় সুফল আসছে না।
আর আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আর ১০টা সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বিএসসিও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় জর্জরিত।
আর এই খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ভলিয়ম পর্যালোচনা করে অন্তত ১২ শো সমুদ্রগামী জাহাজের চাহিদা আছে বাংলাদেশে। কিন্তু বিএসসির ৮টি বাসে বেসরকারী পর্যায়ে মাত্র ৬৩ টি জাহাজ আছে দেশে। যা দিয়ে মোট আমদানি-রপ্তানির মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ চাহিদাও মেটানো সম্ভব নয়।
চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে চার হাজার আর মংলাবন্দর দেড় হাজার সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজ আসা-যাওয়া করে প্রতিবছর। যার বিপরীতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভাড়া গুণতে হয় তিনশো কোটি টাকারও বেশি।