বক্তাবলীতে ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর ১৩৯ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল পাকসেনারা
- আপডেট সময় : ০৪:৪০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার বক্তাবলীতে ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর ১৩৯ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল পাকসেনারা। প্রতি বছর এ দিনটি এলে শোকের ছায়া নামে এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় তুলে ধরা হয়েছে সেদিনের সেই করুণ ঘটনা।
২৯ নভেম্বর’ ১৯৭১, তখনও ভোরের কুয়াশা কাটেনি। নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল বক্তাবলীর মানুষ ছিলেন ঘুমিয়ে। এ গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি আছে, এমন তথ্য পেয়ে দেশীয় দোসরদের নিয়ে হামলা চালায় পাক সেনারা। সেদিনের সে প্রত্যক্ষদর্শী ও ভাই চাচাদের এক সাথে করে ধরে নিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।
তাদের মতো এ গ্রামের এমন অনেকেই আছেন, যারা স্বজন হারানো সেই দিনটির কথা শুনলে আৎকে উঠেন। সেদিন পাক সেনারা দুইটি ইউনিয়নের ৫/৬টি গ্রামের প্রায় সবকটি বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় এ গ্রামের যথেষ্ট অবদান থাকলেও স্বাধীনতার পর অবহেলিত রয়ে গেছে বলে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। বধ্যভূমির পাশে শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃস্তিস্তম্ভ নির্মাণের দাবী জানান স্বজন ও এলাকাবাসী।
পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও নিহত ১৩৯ জনকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি ও তাদের পরিবারদের যথাযথ মর্যাদা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবি করেন তিনি।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। স্বাধীনতা রক্তিম সুর্য উদিত করতে দেশের লাখো মুক্তিযোদ্ধার মতো এই অজপাড়াগাঁ বক্তাবলীবাসীরও রয়েছে যথেষ্ট অবদান। তারই স্বীকৃতি চান এ এলাকার মানুষ।