প্রজ্ঞাপন জারির দেড়বছর পরেও রাবির স্মৃতি সংগ্রহশালায় বঙ্গবন্ধুর খুনীদের নাম
- আপডেট সময় : ০৪:৫৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
- / ১৬৩৬ বার পড়া হয়েছে
জিয়াউল গনি সেলিম, রাজশাহী থেকে
রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের পরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা’য় বীরপ্রতীক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের নাম রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যায় জড়িতদের বীরত্বগাঁথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে এখানে। এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশন-ইউজিসি। তারা বলছে, এ ধরনের ধৃষ্টতার দায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।
শের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাদুঘর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা’। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে একটু এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে গ্যালারির ডানপাশের দেয়ালে বড় বড় কয়েকটি কাঁচের ডিসপ্লে বোর্ড। এগুলোতে মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ ও অসামান্য অবদানের জন্য বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম ও বীরপ্রতীক রাষ্ট্রীয় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও পরিচয় লেখা।
দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাদুঘর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা’। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে একটু এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে গ্যালারির ডানপাশের দেয়ালে বড় বড় কয়েকটি কাঁচের ডিসপ্লে বোর্ড। এগুলোতে মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ ও অসামান্য অবদানের জন্য বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম ও বীরপ্রতীক রাষ্ট্রীয় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও পরিচয় লেখা।
তবে খটকা বাধে তখনই, যখন এই তালিকায় আছে বঙ্গবন্ধুকে স-পরিবারে হত্যায় জড়িত আত্মস্বীকৃত ও আদালতের রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীসহ একাধিক নাম।
২০২১ সালের ৬ জুন জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীসহ চার খুনির মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল করে সরকার। কিন্তু সে তথ্য নেইসংগ্রহশালার কিউরেটরের কাছে।
প্রজ্ঞাপন জারির দেড় বছরেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউজিসির সদস্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য জানান, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে বড় ভূমিকা রাখছে এই সংগ্রহশালা।