বছরের প্রথম তিন মাসে আমদানির প্রবৃদ্ধি ২৭ শতাংশের বেশি
- আপডেট সময় : ১২:০৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
- / ১৬৫৯ বার পড়া হয়েছে
বৈশ্বিক নানা সংকটে সরকার কয়েক বছর ধরেই আমদানীকে নিরুৎসাহিত করে আসলেও ধীরে ধীরে বদলে যেতে শুরু করেছে পরিস্থিতি। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আমদানীর প্রবৃদ্ধি ২৭ শতাংশের বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পরিসংখ্যনের আমদানী বাড়লেও তা কেবল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে সীমাবদ্ধ। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ডলারের যোগান কিছুটা বাড়লেও সংকট কাটেনি এখনো। তাই আমদানীতে উদার হওয়ার সময় এখনো আসেনি।
করোনার বিপর্যয়কর সময় থেকেই বৈদেশিক মুদ্রানীতিতে পরিবর্তন আনে সরকার। করোনার পর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে অনিশ্চয়তার কারনে যা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। মুলত ২০১৯ সালের পর প্রতিটি বাজেটে আমদানী নিরুৎসাহিত করে দেশিয় উৎপাদন বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
কিন্তু চলতি বছর বদলে যেতে শুরু করেছে পরিস্থিতি। রপ্তানী স্থিতিশীল থাকলেও প্রতি মাসেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আমদানীর পরিমাণ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলমান বাস্তবতায় আমদানীর ওপর অনেকটায় নির্ভরশীল উৎপাদন ও রপ্তানী। তাই আমদানী বৃদ্ধি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভুমিকা রাখার কথা থাকলেও তা হয়নি। কারণ বড় বড় কর্পোরেট গ্রুপের মধ্যেই আমদানী এখন সীমাবদ্ধ।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বৈশ্বিক সংকট এখনো না কাটলেও খারাপ সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। এই বাস্তবতায় ডলারের অপচয় রোধে উদ্যোগী না হলে বিপর্যয় নামবে অর্থনীতিতে। পোশাক খাতের রপ্তানী আর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সই জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি। করোনার পর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা, উপসাগরীয় অস্থিরতা এই দুটি খাতের বিপর্যয় কাটেনি এখনো। তাই বৈদেশিক মুদ্রা খরচে সতর্ক হওয়ার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।