বছরের শুরুতেই ধারাবাহিক পতনের মুখে রেমিট্যান্স প্রবাহ
- আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
চলতি অর্থ বছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিক পতনের মুখে রেমিট্যান্স প্রবাহ। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোয় উৎসাহিত করতে চলতি বছরের শুরু থেকেই প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করে সরকার। তবুও ঠেকানো যায়নি রেমিট্যান্সের ধারাবাহিক পতন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে আবারো চাঙ্গা হতে পারে রেমিট্যান্সের প্রবাহ।
রুহুল আহমেদ, আরব আমিরাত প্রবাসী। করোনার শুরুতে ছুটিতে এসে, বিধিনিষেধের বেড়াজালে ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যায় তার। ফলে, আর ফিরতে পারেননি কমর্স্থলে। প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে আবারও ধার-দেনা করে পাড়ি জমাচ্ছেন মরুর বুকে।
শুধু রুহল আহমেদ নয়, এমন অসংখ্য প্রবাসীর ভাগ্য বিড়ম্বনায় আঁচড় লেগেছে দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি রেমিট্যান্সে। করোনা মহামারীর শুরুতে প্রবাসী আয়ের সব হিসেব-নিকেশ পাল্টে দিয়ে বিধ্বস্ত অর্থনীতির চাকা সচল রাখলেও, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিক পতনের মুখে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালানাগাদ প্রতিবেদন বলছে, গত জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার৷ আর ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। এটা গত ২৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন৷করোনাকালে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ব্যাখ্যা তুলে ধরেন অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ।
দেশে গত অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবাসীরা। যা আগের বারের তুলনায় ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি৷ চলতি অর্থবছর শেষে প্রবাসী আয় প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলেও, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
হুন্ডির দৌরাত্ম কমাতে বর্তমান প্রণোদনা যথেষ্ট নয় মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান এম এম আকাশ। ধারাবাহিক রেমিট্যান্স ধস ঠেকাতে নতুন শ্রমবাজার তৈরির পাশাপাশি প্রণোদনার হার আরো বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
তবে, রেকর্ড সংখ্যক প্রবাসীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ঈদকে সামনে রেখে আবারো রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙ্গা হতে পারে বলে আশা করেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো..মহাপরিচালক
গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৩শ ৪৪ কোটি ডলার।